থাইরয়েড (Thyroid) এখন একটি সাধারন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী, পুরুষ নির্বিশেষে এখন এই সমস্যার শিকার হচ্ছেন। এমনকী থাইরয়েডের ফলে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) প্রবণতা অবধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু মহিলাদের মধ্যেই নয়, থাইরয়েডের ফলে পুরুষদের মধ্যেও বন্ধ্যাত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের ১৫ শতাংশ পুরুষ এখন এই সমস্যার শিকার। থাইরয়েডের মূলত দুই প্রকার,হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism) ও হাইপারথাইরয়েডিজম। থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে তাকে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম এবং বেশি উৎপন্ন হলে তাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম। এই দু’ধরণের থাইরয়েডের ফলেই পুরুষদের মধ্যে সন্তান ধারণের ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।
থাইরয়েডের আক্রান্ত হলে টেসটিসের উপর প্রভাব পড়ে ফলে পুরুষদের মধ্যে যৌন ইচ্ছা কমে যেতে থাকে এবং স্পার্মের পরিমাণ ও গুণগত মান দুইয়ের উপরই প্রভাব পড়ে। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রভাব গিয়ে পড়ে স্বাভাবিক সন্তান ধারণের ক্ষমতার উপর। থাইরয়েড ধরা পড়লে সবার আগে পুরুষদের ইরেকটাল ডিসফাংশনের চিকিৎসা শুরু করা উচিত। এই চিকিৎসা চালিয়ে গেলে থাইরয়েডকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়াও থাইরয়েডকে বাগে আনার জন্য বহু হরমোন থেরাপি রয়েছে সেই গুলি করালে আপনিও সন্তান ধারণের ক্ষমতা ফিরে পেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি আপনাকে সুস্থ জীবনযাত্রা বেছে নিতে হবে। তার জন্য কী-কী করতে হবে আসুন দেখে নেওয়া যাক…
সঠিক ডায়েট: বন্ধ্যাত্বকে রুখতে সবার আগে আপনাকে সঠিক ডায়েট মেনে চলতে হবে। থাইরয়েডের মূল ওষুধই হল আয়োডিন। তাই বেশি করে আয়োডিন যুক্ত খাবার খান। কলা, গাজর, স্ট্রবেরি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন রয়েছে। এই ধরণের খাবার গুলি পাতে রাখুন। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছে আয়োডিন রয়েছে। তাই ডায়েটে যোগ করুন আয়োডিন যুক্ত মাছও।
যোগব্যায়াম করুন: নিয়মিত যোগব্যায়াম শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম একটি হাতিয়ার। আপনি যদি থাইরয়েডকে রুখে স্বাভাবিক সন্তান ধারণ করতে চান তবে আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এখানেই শেষ নয়, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে যৌনমিলনের জন্য শরীর সুস্থ থাকে।
মদ্যপান ও ধূমপান ত্যাগ করুন: নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপান কিন্তু নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা ডেকে আনে। এছাড়াও এতে শরীরের আরও নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই স্বাভাবিক প্রেগন্যান্সি চাইলে সবার আগে নেশা ত্যাগ করুন।
স্ট্রেস কমান: আজকাল ব্যক্তিগত সমস্যা, কর্মজগৎ সব এক হাতে সামলাতে গিয়ে মানুষের মধ্যে স্ট্রেস ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অত্যধিক স্ট্রেস কিন্তু সেক্স লাইফের উপর প্রভাব ফেলে। তাই যতটা সম্ভব স্ট্রেস মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।