কলকাতার ১২টি শহরের প্রায় ১৮০০জন অংশগ্রহণকারীর উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, এই মেট্রো শহরের একটি বড় অংশ স্নায়ু রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্বন্ধে একেবারেই সচেতন নয়। প্রাথমিক লক্ষণগুলি উপেক্ষা করার ফলে অবস্থার আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন অজান্তেই। শহরের প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি বাসিন্দা স্নায়ু রোগের বৈশিষ্ট্যগুলিকে জাস্ট উপেক্ষা করে চলেছেন।
হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস এবং হানসা রিসার্চ স্টাডি ও প্রক্টর অ্যান্ড ওয়েজার হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস লিমিডেট দ্বারা পরিচালিক HEALর সহযোগিতায় দেশব্যাপী গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের ৯০ শতাংশের বেশি অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, সুস্থ ও সুষম স্নায়ু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শুধু ৩৪ শতাংশ স্বাকীর করেছেন যে স্নায়ু দেহের সুস্থতার কারণ থেকে ভিন্ন।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, স্নায়পর অবস্থা মনের গভীরে প্রভাব ফেলতে পারে। শুধুতাই নয়, হাঁটাচলা, ভারসাম্য, কথা বলায় খারাপ পরিস্থিতির প্রভাব পড়া স্বাভাবিক। ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স কলকাতা (আইএনকে) নিউরোলজির প্রধান হৃষিকেশ কুমারের মতে, মাইন্ড স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সাধারণত কলকাতাবাসীরা উপেক্ষা করেন, অবহেলার নজরে দেখেন। স্নায়ুজনিত রোগগুলির মধ্যে মারাত্মক রোগ হল মাইন্ড স্ট্রোক। যা সাধারণত প্রথম দিকে লক্ষণগুলি বোঝা যায় না। কিন্তু মাঝেমধ্যে খিঁচুনি ধরা, পা-হাত অসাড় হয়ে যাওয়া ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে এমন উপসর্গগুলি অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তবুও বাড়িরে লোকেরা চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে সঙ্কোচবোধ করেন। আর তা দেরি হলে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে।
ইন্ডিয়ান একাডেমি অব নিউরোলজির রাজ্য প্রধান অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভিটামিন বি ১২-এর কার্।কারিতা ও খাদ্যাভাসের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য স্বাস্থ্য়ের নানান সমস্যা দেখা যায়। তার মধ্যে স্নায়ু রোগ অন্যতম। ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে মানসিক অসুস্থতার পাশাপাশি স্নায়ুর সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা পাশাপাশি ডায়েটে পুষ্টির জন্য ভিটামিন বি ১২ যুক্ত খাবার তালিকাভুক্ত করা উচিত।