
চা খেতে কে না ভালোবাসে। দিনের মধ্যে যে কোনও সময় চা খাওয়া যায়। চা ছাড়া কোনও আড্ডা জমে না। আবার চা ছাড়া আমাদের এক মুহূর্তও কিন্তু চলে না। দিনের শুরুতে চা, দিনের মাঝে চা, ঘুমোতে যাওয়ার আগে চা আবার মধ্যরাতে হঠাই ইচ্ছে হলে তখনও কিন্তু চা খাওয়া যায়। সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয় এক কাপ ডায়েই। আবার মন খারাপ হলে তা এক মুহূর্তে ভাল করার একমাত্র উপায় হল এক কাপ ভাল চা। অধিকাংশই চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে মুখ চালানোর মত কিছু খাবার খেতে পছন্দ করেন। আর সেই তালিকায় থাকে বিস্কুট, চানাচুর, ঝুরিভাজা, চিপস, পকোড়ার মত খাবার। মোটকথা যা কিছু সুস্বাদু তাই ভাল লাগে চায়ের সঙ্গে। আবার বাড়িতে অতিথি এলে চায়ের সঙ্গে মিষ্টি, শিঙাড়া পরিবেশন হল রীতি।
চায়ের নিজের মধ্যেও রয়েছে অনেক গুণ। চায়ের মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের অনেক কাজে লাগে। তবে এমন কিছু খাবার আছে যা চায়ের সঙ্গে খেলেই বিপত্তি। আর তাই বেশ কিছু সাবধান বাণীর কথাও বলেছেন চিকিৎসকরা। দেখে নিন কোন কোন খাবার চায়ের সঙ্গে একেবারেই খাবেন না।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার- যে সব খাবারের মধ্যে বেশি পরিমাণে আয়রন রয়েছে তা একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। চায়ের সঙ্গে পালং শাকের পকোড়া কিন্তু একেবারেই খাবেন না। এছাড়াও মুসুর ডাল বা অন্য শাক সবজিও না। বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ে প্রচুর পরিমাণে ট্যানিন এবং অক্সালেট রয়েছে, যা শরীরে আয়রন শোষণে বাধা দেয়।
লেবু- লেবু চা খুবই জনপ্রিয়। লিকার চাযে অনেকেই লেবু দিয়ে খান। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন চায়ের সঙ্গে লেবু না খেতে। দুধ চায়ের সঙ্গে তো একেবারেই নয়। লেবু ওজন কমাতে ভাল কাজ করে। কিন্তু চা পাতার সঙ্গে মিশলে তার মধ্যে অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য বেড়ে যায়। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হতে পারে। তাই লেবু চলবে না।
বেসন- চায়ের সঙ্গে খাওয়ার জন্য অধিকাংশ স্ন্যাকসেই উপকরণ হিসেবে থাকে বেসন। চপ, পকোড়া বেসন ছাড়া হয় না। বেসন রক্তে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়। যে কারণে বেসনের তৈরি স্ন্যাকস এড়িয়ে চলতে হবে।
আইসক্রিম- একটা ঠান্ডা আর অন্যটা গরম। তাই চায়ের সঙ্গে আইসক্রিম কখনই খাবেন না। এতে হজম প্রক্রিয়ার উপর খুব খারাপ ভাবে প্রভাব পড়ে। এতে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব থাকে। তাই চা খাওয়ার অন্তত ৪৫ মিনিট পর ঠান্ডা কিছু খান।