দেশজুড়ে নিম্নগামী কোভিডের গ্রাফ। কমেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেশকিছু কোভিড বিধি শিথিল করেছে দেশ। এমনকী কিছু রাজ্যে মাস্কের উপর থেকেও তুলে নেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অর্থাৎ আর মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বছরের শুরুতে Centers for Disease Control and Prevention (CDC) বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করে। আর সেখানে বলা হয় ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করতে পারবেন। বাড়ির বাইরে গেলেও কিন্তু প্রয়োজন নেই মাস্কের। গত দুবছর ধরে মাস্ক-স্যানিটাইজার আমাদের নিত্যসঙ্গী। এবং তা আমাদের জীবনের সঙ্গে এমন ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে যে অনেকেই মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখার কথা ভাবতেও পারেন না। আর হঠাৎ করেই এই বিধিনিষেধ শিথিল হতেই অনেকের মধ্যে বেড়েছে উদ্বেগ।
আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ) অনুসারে,সেখানকার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে বাড়িতে থাকা, প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনো,সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং সংক্রমণ রুখতে অবশ্যই ফেসমাস্কের ব্যবহার- এভাবেই অভ্যস্ত হয়ে এসেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে আবার সব স্বাভাবিক হওয়ায়, মাস্ক-হীন ভাবে ঘোরাফেরা বাড়ায় অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। কারণ কোভিডের ভাইরাস যে ভাবে ঘুরে ফিরে এসে সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা কারোরই অজানা নয়।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও মহামারী কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। ফলে একেবারে মাস্ক-ছাড়াই বাড়ির বাইরে বেরনো অনেকের কাছেই উদ্বেগের। যদিও সবার ক্ষেত্রে এই মাস্কহীন ভাবে বাইরে বেরনো নিরাপদ নয় বলেই কিন্তু মনে করছেন চিকিৎকরা। কম বয়সীদের ক্ষেত্রে ব্যাপার আলাদা। কিন্তু যাদের বয়স ৬০ এর উপর, শরীরে একাধিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক।
তবে যতক্ষণ পর্যন্তক না কোভিড উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস না পাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু আমাদের সাবধানেই থাকতে হবে। এছাড়াও শিশুদের টিকাকরণ এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়নি। অনেক শিশুকে টিকাও দেওয়া হয়নি। এই বিষয়টিও কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে। হঠাৎ করেই মালস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়া কিংবা মাস্কহীন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ- যে কোনও মানুষের পক্ষেই উদ্বেগের- একথা কিন্তু মানছেন চিকিৎসকেরাও। আর তাই কেন উদ্বেগ হচ্ছে তা বুঝতে পারা ভীষণ ভাবে জরুরি।
আর এর পাশাপাশি যদি ঘাম দেওয়া, ক্লান্ত লাগা, ভয়, অস্থিরতা, হৃদস্পন্দন এসব বেড়ে যায় তাহলে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এই ছোট ছোট উদ্বেগ থেকেই পরবর্তীতে সনস্যা জটিল হতে পারে। সেই সঙ্গে কোনও ফাঁকা জায়গায় নিজেকে সপিয়ে নিয়ে যান। এতে ক্ষণিকের জন্যেও মন পাবে স্বস্তি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Cardiovascular Disease: হৃদরোগের আশঙ্কা কমিয়ে দিতে অনেকখানি সক্ষম এই ফল, বলছে সমীক্ষা