
আমাদের বিপাক ক্রিয়া পুরোপুরি নির্ভর করে লিভারের উপরেই। যথাযথ পুষ্টিকর খাবার না খেলে, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলে, রোজ রোজ ফাস্ট ফুড খেলে, জল কম খেলে এবং বিস্কুট বেশি খেলে সেখান থেকে লিভারের সমস্যা আসবেই। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হলে তার প্রাথমিক লক্ষণই হল অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং দুর্বলতা। এছাড়াও লিভারের সমযা জটিল হতে থাকলে বমি বমি ভাব, খেতে ইচ্ছে না ককরা, বিলিরুবিন বেড়ে যাওয়া, জন্ডিস, পা ফুলে যাওয়া, পেটে জল জমা একরকম নানা সমস্যা হতে থাকে। শুধু তাই নয় এর সঙ্গে রক্তবমি, ভুলবকা, কিডনির উপর চাপ পড়া, কিডনির সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা এসবও আসে। আর তাই লিভারের কোনও সমস্যা হলে প্রথম থেকেই সজাগ হতে হবে।ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হলে তা কিন্তু নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থেকে সারিয়েও নেওয়া যায়।
চিকিৎসকেরা সব সময়ই পরামর্শ দেন যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হলে নির্দিষ্ট একটি ডায়েট মেনে চলতেই হবে।
আর এর প্রাথমিক শর্তই হল ওজন ঝরিয়ে ফেলা। নিজের ওজনের প্রায় ১০ শতাংশ ওজন আগে কমাতেই হবে। এর পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করতেই হবে। ক্যালোরি একদম মেপে খেতে হবে। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এসবও খুব কম পরিমাণে খেতে হবে। স্যাচুরেটেড ফ্যাটও একেবারেই চলবে না। এছাড়াও খাবারের তালিকায় ফাইবার আর পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রাখতেই হবে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি রয়েছে এরকম খাবার বাদ তো দিতে হবেই সেই সঙ্গে এই ফ্যাট কারোর জন্য ভাল নয়। আর এই ফ্যাট বেশি থাকে মাটনের মধ্যে। যে কোনও রেড মিট মুখে তেলাই চলবে না। পরিবর্তে মুরগির মাংস আর মাছ খেতে পারেন। তবে বড় কোনও মাছ একেবারে চলবে না। সব সময় ছোট মাছ খান। বেশি তেল রয়েছে এমন মাছ যেমন কাতলা, চিতল, ইলিশ, পমফ্রেট এসব এড়িয়ে য্েতে পারলেই ভাল। তবে শরীরে যাতে প্রোটিনের চাহিদা ঠিক থাকে সেই দিকেও কিন্তু নজর রাখতে হবে। সুস্থ থাকে প্রোটিন বেশি করে খেতেই হবে।
চিকিৎসকরা বলেন শরীরের ওজন অনুযায়ী প্রোটিন খেতে হবে। যদি ৫০ গ্রাম ওজন হয় তাহলে ৫০ গ্রাম প্রোটিন খেতেই হবে। নিরামিষ আমিষ যে খাবারই খান না কেন সঙ্গে এই পরিমাণ প্রোটিন রাখতেই হবে। দুধের তারি যে কোনও খাবার বাদ দিতে পারলেই ভাল। বাদাম, তেল, ঘি, মাখন এড়িয়ে চলতে হবে। ফল, ডাবের জল, স্যুপ এসব বেশি করে খেতে হবে।