
বর্ষায় ভাজাভুজি খেতে বেশ লাগে। গরম গরম চপ, পকোড়া সহযোগে চা-কফির তো কোনও তুলনাই নেই। এছাড়াও গরম ভাতে মাছ ভাজা, আচার, মুসুর ডালের বড়া এসব খাওয়ার যে তৃপ্তি তা কখনও বিরিয়ানিতে আসে না। এবার অফিস থাকলে ভাল করে রসিয়ে ভাত খাওয়ার কোনও সুযোগ থাকে না। আর তাই ছুটির দিনেই ভাজাভুজি বেশি খাওয়া হয়। লুচি হোক বা ফুলুরি, পকোড়া এসব ছাঁকা তেল ছাড়া ভাজাই যায় না। এবার ছাঁকা তেলে ভাজার পর কড়াইতে তেল থেকেই যায়। সেই তেল তো আর ফেলে দেওয়া যায় না। আর তাই অধিকাংশই ভাজা তেল বাটিতে তুলে রাখেন। তিনদিন এমনকী চারদিন পর্যন্ত সেই পোড়া তেলের ব্যবহার চলতেই থাকে। এই ব্যবহার সবচেয়ে বেশি চালু রয়েছে দোকানে। চপ, ফুলুরি, পেঁয়াজি, কচুরি এসব ছাঁকা তেলে ভাজার পর তেল থেকে যায়। দিনের পর দিন সেই তেলেই বাকি ভাজাভুজি হয়। গরম গরম এসব ভাজা খাবার খেতে তো বেশ লাগে। কিন্তু খাবার খাওয়ার পর যে সমস্ত অসুবিধে হতে পারে সেই সম্পর্কে আপনি সচেতন তো?
গরম তেল পুনরায় গরম করলে সেখান থেকে টক্সিন তৈরি হয়। প্রতিটি তেলের আলাদা স্মোকিং পয়েন্ট থাকে। সেই স্মোক পয়েন্টে গেলেই ধোঁয়া উঠতে শুরু করে। এবার যত বেশি তেল গরম হয় ততই অ্যাক্রোলিন, অ্যাক্রিলামাইড, পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন এসব বেশি তারি হয়। এই বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে ক্যানসার, হৃদরোগ পর্যন্ত হতে পারে।
রান্নার জন্য কোন তেল সবচাইতে ভাল?
রান্নার জন্য সবথেকে ভাল সরষের তেল, অলিভ অয়েল। এই দুই এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়াও থাকে ওমেগা-৩, ওমেগা-৬। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মস্তিষ্ককে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আর তেল বারবার গরম করলে তেলের মধ্যে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। শুধু থেকে যায় ট্রান্স ফ্যাট। যে কারণে তা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
তেল একাধিকবার গরম করলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ফ্রি- ব়্যাডিকেলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। আর শরীরে ফ্রি- ব়্যাডিকেলে বাড়লে লিভার, কিডনি, ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হতে পারে।
আর তাই যখনই কোনও কিছু বানাবেন তখনই ফ্রেশ তেল ব্যবহার করবেন। এছাড়া ভাজার আগে নুন ব্যবহার না করাই ভাল। এর ফলে খাবারের মধ্যে তেল জমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পরিবর্তে এয়ার ফ্রায়ারে ভেজে খেতে পারেন। যদিও রোজ খাওয়া ঠিক নয়।