Baldness: টাকে চুল গজাচ্ছে সস্তার পুরনো ওষুধ! স্বল্প ডোজে ওষুধটি খেলে কী কী হতে পারে, অকপট বিশেষজ্ঞরা
Hair-Loss Pill: কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, স্ক্যাল্পে ব্যবহার না করে স্বল্প ডোজে ওষুধটি খেলে বরং অনেক বেশি ভালো ফল মিলতে পারে।

একমাথা ঘন চুল সকলেরই স্বপ্ন। সাধারণত বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে মাথার চুল ফাঁকা হতে থাকে। কিছু লোকের আবার কমবয়সেই চুল ঝরতে শুরু করে। চুল পাতলা হতে শুরু করলে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো মিনক্সিডিল ব্যবহার করেন। মাথার ত্বকে লাগাতে হয় এই ওষুধটি। তবে বিশেষ এই ওষুধটি মাথায় লাগানো নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগেন। তাছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে ওষুধটি কার্যকরীও হয় না! অথচ মুখে খাওয়ার ওষুধটি নিয়ে কিন্তু অনেকেই আশাবাদী!
টেলিভিশন হোক বা সংবাদপত্র— সর্বত্র টাকে চুল গজানোর বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি! কেউ বলছে অমুক শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই হুড়মুড়িয়ে চুল গজাবে। কেউ আবার দাবি করছে নতুন তেল লাগালেই নতুন ধানের মতো ফাঁকা মাথা ভরে উঠবে চুলে। তবে বেশিরভাগ ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞের মতে, টাকে চুল গজানোর জন্য এই ধরনের পণ্যগুলি বিশেষ কার্যকরী নয়। অথচ গ্যাঁটের কড়ি খসিয়ে দিতে যথেষ্টরূপে সক্ষম। তাঁরা আরও বলছেন— মাথার চুল এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় যে প্রায় সব ব্যক্তিই চুল গজানোর জন্য যে কোনও ধরনের ঝুঁকি নিতে পিছপা হন না। অথচ আশ্চর্য ব্যাপার হল, খুব অল্প খরচইে টাকে চুল গজানোর চিকিৎসা করা যায়। প্রচলিত চিকিৎসার তুলনায় খরচও সামান্য। ওষুধের নাম কী? মিনক্সিডিল। টাকে চুল গজানোর সবচাইতে পুরনো এবং অতিপরিচিত ওষুধ। তবে বেশিরভাগ চুলের সমস্যাই ভোগা ব্যক্তিই জানেন, হেয়ার লস-এর চিকিৎসায় মিনক্সিডিল ব্যবহার করা হয় সরাসরি স্ক্যাল্পে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, স্ক্যাল্পে ব্যবহার না করে স্বল্প ডোজে ওষুধটি খেলে বরং অনেক বেশি ভালো ফল মিলতে পারে।
তবে সমস্যা একটা রয়েছে। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর তরফে মিনক্সিডিল মুখে খাওয়ার পক্ষে এখনও কোনও অনুমোদন মেলেনি। তবে একাধিক ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মানবদেহে ওষুধ কীভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে ত্বক রোগ বিষেজ্ঞরা ওয়াকিবহাল। প্রচলিত নিয়মের বাইরে নিরাপদ মাত্রায় কীভাবে রোগীকে ওষুধ দেওয়া যাবে সেই বিষয়েও তাঁরা অবগত। ত্বকের রোগের চিকিৎসায় কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি যদি প্রার্থিত ফল প্রদান করতে পারে, তাহলে তা অনুসরণ করে দেখার পক্ষেই সওয়াল করা উচিত।
বিশেজ্ঞরা এও বলছেন অনেকসময় স্কিন পিগমেন্ট ডিজঅর্ডার, স্কিন ইনফ্লেমেটরি ডিজঅর্ডার, ত্বকে প্রচণ্ড চুলকানির যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা কর হয় তা নানা সময়ে অপ্রচলিত প্রক্রিয়াতেই করা হয়।
মিনক্সিডিল হল একধরনের লোশন যা স্ক্যাল্পে লাগাতে হয়। ১৯৮৮ সালে পুরুষদের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়। এরপর ১৯৯২ সালে মহিলাদের সমস্যায় ব্যবহারের অনুমোদনও মেলে। কয়েক দশক আগে চুল গজানোর ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাবশতই ওষুধটির আবিষ্কার হয়। হাই ডোজে মিনক্সিডিল ব্যবহার হতো উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে। রোগীরা খেয়াল করেন, ওষুধটি সারা দেহে চুল গজানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে। ফলে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মিনিক্সিডিল লোশন প্রস্তুত করা শুরু করেন। টাকে চুল গজানোর জন্য লোশনটির ব্যবহারও শুরু হয়।
