লকডাউন পরবর্তী সময়ে নানা রকম সমস্যা বেড়েছে। আর তার মধ্যে যেমন আছে মানসিক সমস্যা তেমনই শারীরিক সমস্যাও রয়েছে। আর এই সমস্যাগুলির মধ্যে ছেলে এবং মেয়েদের হরমোনজনিত বেশ কিছু সমস্যাও কিন্তু বেড়েছে। PCOS/ PCOD-এর সমস্যা যেমন মেয়েদের মধ্যে বেশি তেমনই ছেলেদের প্রধান সমস্যা হল শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া। আর এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় অলিগোস্পার্মিয়া।
এই অলিগোস্পার্মিয়ার সমস্যা এখন অধিকাংশ ছেলের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। আর এর মূল কারণ কিন্তু হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। এছাড়াও শরীরে যদি কোনও সংক্রমণ থাকে, টিউমার থাকে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থেকেও কিন্তু হতে পারে এমন সমস্যা। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও হতে পারে শুক্রাণু কমে যাওয়ার মত ঘটনা। অনেক পুরুষেরই স্টেরয়েড নেওয়ার অভ্যাস রয়েছে। পেশী গঠনের জন্য আবার অনেকে সাপ্লিমেন্টও নিয়ে থাকেন। আর কোকেনের মত ড্রাগে আসক্ত হলে তো কথাই নেই। সেখান থেকে এমন সমস্যা আসবেই।
ধূমপান শরীরের জন্য যে কতখানি ক্ষতিকারক এ বিষয়ে বার বার প্রচার চালানোর পরও কিন্তু এখনও ছেলেরা সতর্ক হয়নি। ফলে তাদের শুধু যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমছে তাই নয় সেই সঙ্গে কমছে স্পার্মের গুণমানও। এছাড়াও ওবেসিটি এখনকার দিনে মস্ত বড় সমস্যা। যে কারণে বাড়তি ওজন আগেই ঝেড়ে ফেলতে হবে। ওজন বাড়লে ফার্টিলিটির সমস্যা আসবেই ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকুন। ধূমপানের পাশাপাশি মদ্যপানও বন্ধ করতো হবে। নিয়মিত মদ্যপান করলেই আসবে ফ্যাটি লিভারের মত সমস্যা। আর অ্যালকোহল খেলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়। ফলে শরীরে তখন শুক্রাণুর উৎপাদনও কিন্তু কমতে থাকে।
কখন বুঝবেন যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমছে?
রোজকার যৌন জীবনে ভাটা পড়লে, সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গে কোনও রকম উৎসাহ না পেলে বুঝতে হবে যে সমস্যা হচ্ছে। শুক্রাণুর সংখ্যা কমতে শুরু করলে অনেকের দাড়ি, গোঁফও ঝরে যায়। আজকাল কাজের চাপ, স্ট্রেস তো সকলেরই রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপও কিন্তু শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়। আর তাই এমন সমস্যা হলে লুকিয়ে রাখবেন না বা চেপে রাখবেন না। চিকিৎসকের কাছে যান, তাঁর পরামর্শ নিন। নইলে হৃদরোগের মত সমস্যাও কিন্তু আসতে পারে।