
প্রাচীনকালে চিকিৎসা ব্যবস্থায় হোমিওপ্যাথি বা অ্যালোপাথির কোনও অস্তিত্ব ছিল না। সেই বৈদিক যুগ থেকেই ভারতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভরসা আয়ুর্বেদ। যা বর্তময়ানে এক নতুন চেহারা নিচ্ছে পতঞ্জলির হাত ধরে।
আজ দেশের নানা প্রান্তে বাড়ছে পতঞ্জলির প্রোডাক্টের চাহিদা। আয়ুর্বেদিক ওষুধ থেকে শুরু করে খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রেও মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে পতঞ্জলি। যার প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং যোগগুরু বাবা রামদেব।
এবার মানুষের দৈনিক সমস্যাগুলির সমাধান নিয়ে এসেছে পতঞ্জলি। আজকাল সারাদিন বসে বসে এক জায়গায় কাজ। তার উপর উলটো পালটা খাওয়া দাওয়া লেগেই রয়েছে। যার ফলে স্থূলতাঁর মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। যা বাড়িয়ে দেয় অনান্য নানা বড় রোগের ঝুঁকিও। অনেকের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কম ওজন। যে যতই খাবার খান না কেন, ওজন বাড়ে না কিছুতেই। সুস্থ থাকতে হলে উচ্চতা, বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী সঠিক বা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। সেখানেই কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে পতঞ্জলি। কী করতে হবে এই পরিস্থিতিতে সেটাও জানিয়েছেন বাবা রামদেব।
কম ওজন হলে কী করবেন?
বাবা রামদেব একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “এক মহিলা ক্রমাগত ওজন কমার সমস্যায় ভুগছিলেন। একসময় তাঁর ওজন মাত্র ২৮ কেজি হয়ে যায়। ঘরের দৈনন্দিন কাজকর্মও করতে পারতেন না। পরে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এবং যোগাভ্যাসের মাধ্যমে তিনি নিজের ওজন ৩৮ কেজি পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হন।”
রামদেবের মতে, ওজন বাড়াতে বাজারের ওষুধ নয়, বরং অশ্বগন্ধা, শতাবরী, কলা, আম, খেজুর ও দুধের মতো প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত যোগব্যায়াম করতে হবে। এতে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বৃদ্ধি সম্ভব।
ওজন কমাতে কোন কোন যোগাসন করবেন?
ওজন কমানোর জন্য বাবা রামদেব কিছু বিশেষ যোগাসনের কথা বলেন। যা প্রতিদিনের রুটিনে করলে পেটের চর্বি কমবে। এই আসনগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বেশ উপকারী। রামদেব জানান,
মন্ডুকাসন, বজ্রাসনে বসে পেটের উপর হাত রেখে সামনের দিকে ঝুঁকতে হয়। বক্রাসন করলে উপকার পাওয়া যায়। পবনমুক্তাসন, হজমের জন্য খুব ভাল। এছাড়াও
উত্তানপদ্মাসন, সর্বাঙ্গাসন, হলাসন, চক্রীচালনাসন, অর্ধনৌবাসন এবং শলভাসন করতে পারেন। এই সব আসন নিয়মিত অভ্যাস করলে ওজন কমে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।
স্থূলতার থেকে সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন?
অতিরিক্ত ওজন হলে ডায়াবেটিস সহ নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওজন বাড়তে থাকলে প্রথমেই খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারায় পরিবর্তন আনা উচিত। খাবারে ভারসাম্য আনা, নিয়মিত যোগব্যায়াম বা হালকা ব্যায়াম করা আবশ্যক। তবে এতেও যদি ওজন কম না হয়, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।