Rare Penis Condition: দুর্ভাগ্যবশত সহবাসের সময় ভাঙল যৌনাঙ্গ! মেডিক্যাল বলছে বিরল ‘Eggplant Deformity’-এর শিকার ব্যক্তি

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Jul 10, 2022 | 7:30 PM

Eggplant Deformity: ৫০ বছরের বয়সী ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করার সময় তাঁর লিঙ্গে ফাটল অনুভব করেছিলেন। এরপর প্রায় চার ঘন্টা ধরে তাঁর যৌনাঙ্গ ফুলে ছিল...

Rare Penis Condition: দুর্ভাগ্যবশত সহবাসের সময় ভাঙল যৌনাঙ্গ! মেডিক্যাল বলছে বিরল ‘Eggplant Deformity’-এর শিকার ব্যক্তি
এমন বিরল সমস্যার কথা আগে শুনেছেন?

Follow Us

এমন ঘটনা সচরাচর শোনা যায় না। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার এই ব্যক্তির সঙ্গে ঘটে গিয়েছে এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনের সময় যৌনাঙ্গ ভেঙে গেল এই ব্যক্তির। সঙ্গমের (sexual intercourse) সময় পেনাইল ফ্র্যাকচারের এই ঘটনা চিকিৎসা পরিভাষায় Eggplant Deformity নামে পরিচিত। এই রোগকে বিরল রোগ হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সার্জারি-তে এই ঘটনার উল্লেখও রয়েছে। ৫০ বছরের বয়সী ওই ব্যক্তি যেমন জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করার সময় তাঁর লিঙ্গে ফাটল অনুভব করেছিলেন। এরপর প্রায় চার ঘন্টা ধরে তাঁর যৌনাঙ্গ ফুলে ছিল। সেই ব্যথা আর জ্বালা ভাব তো ছিলই। এরপর তাঁর ইরেকশন বন্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মূত্রনালীতে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সঙ্গে বীর্যপাতও বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে দেখা যায়, তাঁর লিঙ্গ বেগুনি রং ধারণ করেছে, সেই সঙ্গে স্ক্যানিং রিপোর্টে দেখা যায় লিঙ্গের ডানদিক বাজে ভাবে জখম হয়েছে। লিঙ্গ থেকে অন্ডকোষ পর্যন্ত রক্তজমে গিয়েছে। যে কারণে লিঙ্গ থেকে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে মূত্রনালী ফেটে যাওয়াতে প্রস্রাবও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে কারণে অতি দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার প্রয়োজন ছিল।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ২০১৫ তেও এরকম একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। যেখানে যৌনাঙ্গে জোর আঘাতের ফলে একদিন থেকে তাতে চিড় ধরে যায়। সেই খানেও বলা হয়, সঙ্গমের সময় যোনিমুখ থেকে যৌনাঙ্গ বেরিয়ে গিয়ে আঘাত করে সরাসরি মহিলাদের যৌনাঙ্গে। এরফলেই পেনিস বেগুনের মত বিকৃত হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না হলে এই বিকৃতি থেকেই যায়, সেখান থেকে আসে পুরুষত্বহীনতা। বেগুনি রং এবং বিকৃতির সঙ্গে তুলনা টেনেই এই সমস্যাকে এগপ্ল্যান্ট ডিফর্মিটি বলা হয়।

গবেষণায় বলা হয়েছে, পরীক্ষায় এই গোলযোগ ধরা পড়লে দ্রুত অপারেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুনরায় লিঙ্গকে সচল করার জন্য প্রথমে লিঙ্গ খুলে ফেলা হয়। এরপর লিঙ্গের ভিতর জমে থাকা লিক্যুইড আর রক্ত পরিষ্কার করে ক্ষতিগ্রস্ত মূত্রনালী এবং পেনিসের কোষ পুনর্গঠন করা হয়। এরপর কৃত্রিমভাবে তার ইরেকশন করানো হয়। পেনাইল ফাংশন পরীক্ষা করে দেখা হয় বার বার। অপারেশনের পাঁচ দিন পর ইরেকটাইল পরীক্ষায় ভাল ফল আছে তার। এরপর তাঁকে চিকিৎসকরা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে টানা ২১ দিন ক্যাথিটার পরানো ছিল। ওর মাধ্যমেই ইউরিন পাস করত। নিয়মিত ভাবে ফলো-আপ করার ৪ মাস পর চিকিৎসকেরা দেখলেন, বীর্যপাতে কোনও রকম সমস্যা না হলেও লিঙ্গ একদিকে কিছুটা বেঁকে রয়েছে। তবে তা সমস্যার কিছুই নয়, ওই ব্যক্তি নিরাপদ যৌন মিলনে সক্ষম বলে আশ্বস্ত করেছেন চিকিৎসকেরা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Next Article