
বর্ষা মানেই যতটা মজার-সৌন্দর্য্যের ততটাই চিন্তার। এই সময়ে আর্দ্রতার কারণে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং মশার বাড়বাড়ন্ত থাকে মারাত্মক বেশি। ফলে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ এবং সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় হু হু করে। বিশেষ শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের তো আরও সাবধানে থাকা উচিত। চিকিৎসকদের গর্ভবতী নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে। এই সময়ে তাঁদের আরও বেশি করে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বাড়ে বেশ কিছু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও। কী কী সেই রোগ?
১। ডেঙ্গি – গর্ভাবস্থায় নারীদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ডেঙ্গি হলে প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়া, ডিহাইড্রেশন এবং অকাল প্রসবের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
২। ম্যালেরিয়া – গর্ভাবস্থায় ম্যালেরিয়া অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন তীব্র রক্তাল্পতা এবং শিশুর ওজন কমে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩। লেপ্টোস্পাইরোসিস – গর্ভবতী নারী যদি লেপ্টোস্পাইরোসিসে আক্রান্ত হন, তবে গর্ভপাত বা অঙ্গ-সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি লেপ্টোস্পাইরোসিস আক্রান্ত প্রাণীর মাধ্যমে ছড়ায়।
৪। টাইফয়েড জ্বর – বর্ষাকালে নোংরা স্যানিটেশন ব্যবস্থার কারণে টাইফয়েড ছড়ায়, যা উচ্চ জ্বর এবং গর্ভাবস্থায় অনান্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৫। হেপাটাইটিস A ও E – এই ভাইরাসগুলো নোংরা পরিবেশে বংশবৃদ্ধি করে এবং সাধারণত অপরিশোধিত পানি বা ভুল রান্নার মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষ করে হেপাটাইটিস E গর্ভাবস্থায় গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে, যা ভ্রূণ নষ্ট হওয়া ও লিভার ফেলিওরের কারণ হতে পারে।
৬। গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস – এই রোগ মায়ের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে, ডিহাইড্রেশন ও পুষ্টির ঘাটতি তৈরি করে।
৭। ছত্রাক সংক্রমণ – হরমোন পরিবর্তনের কারণে গর্ভবতী নারীরা ত্বকের সংক্রমণে বেশি আক্রান্ত হন।