‘ধুর কিছুই ভাল লাগছে না’- বলা এখন জেন ওয়াই এর অভ্যাস। সকাল থেকে বৃষ্টি পড়ছে ভাল লাগছে না, আজ প্রচুর গরম ভাল লাগছে না, আজ কোনও কাজ নেই ভাল লাগছে না, আজ প্রচুর কাজের চাপ…সুতরাং ভাল লাগছে না। অর্থাৎ যেন-তেন প্রকারে খারাপ লাগানো চাই-চাই। জীবনে কোনও রকম চাপ নেই এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু হাতে গোনা। চাকরি চাই, বাড়ি চাই, গাড়ি চাই, প্রেমিকা চাই- লম্বা তালিকা। তার থেকেও বেশি উঁচু প্রত্যাশ্যার গ্রাফ। আর এই গ্রাফ যত বাড়বে ততই কিন্তু চড়বে চিন্তার পারদ। ব্যস্ত জীবন থেকে তাই কিছুটা সময় অবশ্যই রাখুন নিজের জন্য। এই সময়টাতে পছন্দের কাজ করুন, পছন্দের খাবার খান, রান্না করুন, গানশোনা, বই পোড়া, বন্ধুদের সঙ্গে আ়ড্ডা- যা কিছু চলতে পারে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই ভাল লাগছে না ব্যাধিকে বেডরুম পর্যন্ত টেনে আনবেন না। ইতি টানুন ‘মেইন গেট’ থেকেই। কারণ অকারণেই আপনি নিজেকে ‘বোর’ করতে চাইছেন।
সুতরাং আপনার জন্য রইল দারুণ কিছু টোটকা
অতিরিক্ত স্মার্টফোনে আসক্তি কিন্তু বোর হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। কাঁহাতক নোটিফিকেশন, রিলস চেক করতে করতে একময় আপনি বোর হয়ে যাবেন। সবসময় সোশ্যাল মিডিয়া মন ভাল রাখতে খোরাক জুগিয়ে যাবে এমনটাও নয়। এর ফলে কিছু সময় পরই বোর লাগতে শুরু করে। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। বাড়িতে বা আশপাশে কোনও বাচ্চা থাকলে তার সঙ্গে কথা বলুন। বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাতে পারলে মন ভাল থাকে। এই সুযোগ না থাকলে নিজে ছবি আঁকুন, লেখালেখি করুন। এতেও মন ভাল থাকে। কিংবা বারান্দায় এককাপ কফি নিয়ে বসতে পারেন। কানে বাজুক পছন্দের গান।
মনকে বোর হওয়ার সুযোগ না দিয়ে মাতুন সৃজনশীল কোনও কাজে। নতুন কোনও প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে পারেন। এছাড়াও যে বিষয়ে নিজে আগ্রহ পান সেইরকম কোনও কিছুতে মনোনিবেশ করতে পারেন। তা হতে পারে বেকিং, কুকিং, গিটার ক্লাস, ট্রেডিং, হোম ডেকোরেশন কিংবা বিউটি থেরাপি। এতে বাড়বে নিজের ক্রিয়েটিভিটিও।
মি টাইম কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ন। যতই গদগদ প্রেম থাক না কেন নিজেকে সময় দিতে কিন্তু ভুলবেন না। সপ্তাহে একটা দনের নির্দিষ্ট কয়েক ঘন্টা বরাদ্দ থাক শুধুমাত্র নিজের জন্য। এই সুযোগে নতুন কিছপ শিখুন, নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার সেরা সুযোগ।