অর্গ্যাজম- শব্দটি শুনলে প্রথমেই আমাদের মনে যে টুকু ভাবনা আসে তার মধ্যে খারাপের অংশই বেশি থাকে। স্বমেহন বা Orgasm আদতে কী, খায়-পরে-নাকি মাথায় দেয় তাই-ই অনেকে জানেন না। অধিকাংশই ধরে নেন ব্যাপারটি অস্বাভাবিক। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা থাকে না তাই মনের মধ্যে অহেতুক কিছু ভুল প্রশ্নই আসে। প্রথমেই তাই জানুন, যৌনতা কোনও অপরাধ নয়। শরীর এবং মনের চাহিদা মেটাতে যৌনতার প্রয়োজন আছে। যৌনতার মধ্যে উত্তেজনা, আনন্দ এই দুই থাকে। যৌনসুখ উপভোগ করতে হয়। অনেকেই যৌনতার শুরুতেই সুখ খোঁজেন। এর সঙ্গে কিন্তু স্বমেহনের ফারাক রয়েছে। অর্গ্যাজম হল যৌনতার সেই মুহূর্ত যখন আপনি চরম সুখ উপভোগ করেন। আর তা শরীরের জন্যেও ভীষণ রকম উপকারী। অনেকেই আছেন যাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে নিয়মিত যৌনতায় লিপ্ত হতে পারেন না। হস্তমৈথুনের মাধ্যমে নিজের যৌন আনন্দ খুঁজে নেন। তাঁদের জন্যেও ভাল অর্গ্যাজম।
প্রচন্ড উত্তেজনার মুহূর্তে শরীর থেকে অক্সিটোসিন নামের হরমোন নির্গত হয়। যা আনন্দের অনুভূতিকে দেবিগুণ করে দেয়। সেই সঙ্গে অক্সিটোসিন স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল রাখে, যা মেলাটোনিন নামক হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে ঘুম ভাল হয়।
আজকাল স্ট্রেস সকলেরই রয়েছে। এই স্ট্রেস কমাতেও ভীষণ রকম সাহায্য করে অর্গ্যাজম। প্রচন্ড উত্তেজনার পর পেশি শিথিল হয়ে যায়। তখন মাথা থেকে স্ট্রেস থাকে দূরে। বরং মনে আনন্দ থাকে অনেক বেশি। অর্গ্যাজম মস্তিষ্ক থেকে ডোপামিন নিঃসরণ করে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আনন্দ, আকাঙ্খা বাড়িয়ে দেয়।
অর্গ্যাজমের সময় শরীরের যে সংকোচন প্রসারণ হয় তাতে পেলভিকের পেশীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। পেলভিকের পেশী অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। সেই সঙ্গে অনেক রকম ব্যাথাও শরীর থেকে চলে যায়। মহিলাদের মূত্রাশয়ের কার্যকারিতা বাড়াতেও সাহায্য করে অর্গ্যাজম। তাই ভুল বা কোনও খারাপ কিছু না ভেবে নিজের আনন্দ নিজে উপভোগ করুন। যৌনতার আনন্দ আর অর্গ্যাজমের মধ্যে কোথায় ফারাক তা বুঝুন। তবেই সুস্থ থাকবেন।