
পুষ্টিবিদদের মতে, আপনি রোজ ডিম খেতে পারেন। বরং, ডিম খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না। কিন্তু আপনি কোন ধরনের ডিম বেছে নেন? বাজারে সাদা ও বাদামী রঙের ডিম পাওয়া যায়। সুপারমার্কেটে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় এই দু’ধরনের ডিম। বেশিরভাগ মানুষ সাদা ডিমের পেটি তুলে আনেন। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা বেশি উপকারী সেটাই অনেকে জানেন না। তাছাড়া ডিম কিনতে গিয়ে দ্বন্ধেও পড়েন অনেকে। স্বাদে হেরফের হয় কি না, সেটাও অনেকে বুঝতে পারেন না। তাই আপনাদের জন্য রইল এই নিবন্ধ।
সাধারণ ডিমের চেয়ে একটু বড় হয় বাদামী বর্ণের ডিম। তবে, পুষ্টির দিক দিয়ে খুব বেশি পার্থক্য নেই সাদা বা বাদামী ডিমের মধ্যে। পুষ্টিবিদদের মতে, দু’ধরনের ডিমই স্বাস্থ্যকর। তবে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সাদা ডিমের তুলনায় বাদামী ডিমের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি পরিমাণে থাকে। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য পুষ্টি।
এছাড়া ডিমের মধ্যে ভিটামিন ডি, প্রোটিন ইত্যাদি রয়েছে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে। পুষ্টির পাওয়ার হাউস সাদা ও বাদামি ডিম। ব্রেকফাস্টে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে আপনি সাদা ও বাদামি যে কোনও ডিম রাখতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলেস্টেরলে ডিম খাওয়া যায় না। ডিম খেতে বাড়তে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয়। কিন্তু এই ভয় নেই বাদামি ডিমের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ, সাদা ডিম কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য উপযোগী নয়। কিন্তু বাদামি ডিম দেহে কোলেস্টেরলের পাশাপাশি প্রোটিন ও ক্যালোরির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, পুষ্টি যখন এক, তাহলে রঙের কেন ফারাক? সেই উত্তরও রয়েছে আমাদের কাছে। সাধারণত বাজারে পোলট্রি ডিম পাওয়া যায়। এই পোলট্রি ডিম সাদা রঙের হয়। যেসব পোলট্রি ডিমের রং সাদা হয়, সেই মুরগির সাদা রোম থাকে। অন্যদিকে, এমনও মুরগি রয়েছে যার রোম বাদামি। ওই সব মুরগির ডিম বাদামি হয়। বাদামি ডিমও পোলট্রি ডিম হয়।
পুষ্টি এক হলেও স্বাদে কিন্তু বেশ পার্থক্য রয়েছে সাদা ও বাদামি ডিমের মধ্যে। সাদা ডিমের তুলনায় বাদামি ডিমের স্বাদ একটু আলাদা হতে পারে। তবে, আপনি যদি প্রথমবার বাদামি ডিম খান, তাহলে এই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। এছাড়া আর সেরকম তফাৎ নেই সাদা ও বাদামি ডিমের মধ্যে। কিন্তু বাজারে বাদামি ডিমের দাম সাদা ডিমের তুলনায় বেশি।