
গ্য়াস-অম্বলের (Acidity) সমস্যা মানুষের সারাজীবন। একটু মশলাদার খাবার (Spicy Foods) খেলেই গলা জ্বালা, চোয়া ঢেকুড়, পেট খারাপের, বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষজ্ঞের কোনও রকম পরামর্শ না নিয়েই অনেকেই ডাক্তারি (Doctor) করে বসেন। খান মুঠোমুঠো অ্যান্টাসিড (Antacids)। আর এতেই দেখা দেয় বড় বিপদ। বিশেষজ্ঞরা বার-বার এই বিষয়ে সতর্ক করলেও কোনও পরিবর্তন হয়নি। একটু সাময়িক স্বস্তি পেতে শরীরের যে কত বড় ক্ষতি হচ্ছে জানুন…
অ্যান্টাসিড হল ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ। যা কোনও রকম প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দোকান থেকে কেনা যায়। আর এতেই হয়েছে যত বিপদ। না বুঝেশুনে মুড়ি-মুড়কির মতো এই অ্যান্টাসিড খাচ্ছেন মানুষ। এই ওষুধের মূল কাজ হল পাকস্থলীর অ্যাসিডকে প্রশমিত করা। ফলে সাময়িক ভাবে সমস্যা কমে। এছাড়াও এই ওষুধ পেটের আলসার, কস্থলীর লাইনিং এর প্রদাহ কমায়। তবে অত্যধিক পরিমাণে অ্যান্টাসিড খেলে কী ক্ষতি হয় জানুন..
এনএইচএস.ইউকে-এক মতে অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টাসিড খেলে হতে পারে ডায়ারিয়া, পেটে ব্য়থা, বমির সমস্যা। এছাড়াও দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য, অত্যধিক বাতকর্মের সমস্যাও। জানেনে কি অত্যধির অ্য়ান্টাসিড খাওয়ার ফলে হতে পারে মাথা যন্ত্রণার সমস্যাও। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুলের মেডিসিন বিভাগের এক গবেষণাপত্র অনুযায়ী, অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড খেলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়। এবং কিডনির অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে।এছাড়াও এতে হৃদযন্ত্রের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে হৃদরোগের আশঙ্কা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়।
কাঁদের অ্যান্টাসিড খাওয়ার আগে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
১. অন্তঃসত্ত্বা মহিলা
২. ব্রেস্টফিড করান যাঁরা
৩. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে যাঁদের
৪. কিডনির সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা
৫. লিভার সিরোসিস রয়েছে যাঁদের
৬. হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত যাঁরা
কখন খাওয়া উচিত অ্যান্টাসিড?
অনেকেই খালিপেটে অ্যান্টাসিড খান। এই অভ্যেস অবিলম্বে ত্য়াগ করতে হবে। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রয়োজন পড়লে
খাবার খাওয়ার আগে বা পড়ে অ্যান্টাসিড খেতে হবে। এই ওষুধ ২-৪ ঘণ্টা কাজ করে। তাই একটি ওষুধ খেয়ে কাজ না হলে তারপরেই আর একটি ওষুধ খাওয়া চলবে না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।