সারা বিশ্বে সর্বাধিক হারে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে স্তন ক্যানসার অন্যতম । মহিলাদের মধ্যে এই কর্কট রোগের সমস্যা থাকলেও, পুরুষরাও এই রোগের শিকার হোন। সারা বিশ্বের মহিলাদের মধ্যে অন্যতম সাধারণ কর্কট রোগ হল এটি। সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর প্রায় ২০ লক্ষ মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন।
স্তন ক্যানসারের প্রথম দিকে লক্ষণগুলি প্রায়শই দেখা যায় না। তাই নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে একজন মহিলা স্তন সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। চিকিত্সকদের মতে, নিয়মিত পরীক্ষা না করালেও কয়েকটি পরিবর্তন দেখেও স্তন ক্যানসারের লক্ষণগুলি বোঝা যায়। স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাসে স্তন ক্যানসার সনাক্তকরণের উপর বেশি জোড় দিয়েছেন। বগলের নিচে গলদের চিহ্ন দেখে সনাক্ত করা গেলেও এই মারণ রোগের অন্যান্য লক্ষণগুলি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে রাখা ভাল।
১. স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন
পিরিয়ডের আগে স্তন ফুলে যাওয়া, ব্যাথা বা বেদনাদায়ক হওয়া সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু বিশেষ করে এই সময় একটি স্তনের আকারে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়, তা উপেক্ষা না করে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করুন।
২. স্তনবৃন্তে স্রাব
স্তন থেকে যে কোনও স্রাব বের হলে সতর্ক হবেন। সেই স্রাব জলযুক্ত হতে পারে, আবার রক্তাক্ত ও দুধের মতো সাদা স্রাবও হতে পারে। যদি কোনও মহিলা স্তন্যপান না করান , তবুও তাঁর এমন লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৩. স্তনবৃন্তের আকারে পরিবর্তন
যদি লক্ষ করেন যে আপনার স্তনবৃন্ত বাইরের দিকে না গিয়ে ভিতরের দিকে নির্দেশ করছে, আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৪. স্তনে লালচে বা কালচে ত্বক
স্তন ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণ এটি। প্যাগেটের রোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। একজিমা ও এটোপিক ডার্মাটাইটিসের মতো ত্বকের অবস্থার কারণেও লালচে ত্বক হতে পারে, তাই এটি সর্বদা ক্যানসারের নির্দেশ করে না, তবে একজন ডাক্তারের দ্বারা মূল্যায়নের দাবি করে।
৫, ডিম্পলিং
স্তনের চামড়া খসখসে হয়ে যায়, কারণটি নির্ধারণ করতে আপনার অবিলম্বে পরীক্ষার দরকার।
প্রাথমিক সনাক্তকরণের জন্য স্ক্রিনিং
ম্যামোগ্রাম: ক্যানসার দ্রুত শনাক্ত করার জন্য স্তনের এক্স-রে হল সর্বোত্তম উপায়। অনেকটা আগে থেকেই গলদটা অনুভব করার বা লক্ষণ প্রকাশ করার জন্য যথেষ্ট।
কখন স্তন ক্যান্সারের জন্য স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন?
৪০-৪৯ বছর- এই বয়সে উপযুক্ত কাউন্সেলিংয়ের পর বার্ষিক বা দুই বছরে একবার স্ক্রিনিং শুরু করার জন্য একটি পছন্দ করেন।
৫০-৭৪ বছর- এই বয়সে দুই বছরে একবার ম্যামোগ্রাম দিয়ে স্ক্রিনিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৭৫ বছর ও তার বেশি বয়স- ১০ বছরের বেশি আয়ু হলে স্ক্রিনিং চালিয়ে যাওয়া উচিত।
সেল্ফ-ব্রেস্ট পরীক্ষা
মেনোপজের পরবর্তী মহিলাদের ক্ষেত্রে ও মাসিকের পরে বা প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট দিনে স্ব-স্তন পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিত্সকরা। তবে নিজে নিজে ক্য়ানসার সনাক্ত করার নির্দিষ্ট কোনও পরীক্ষা চালানো সম্ভব নয়। তবে ছোট ছোট পরিবর্তনগুলি লক্ষ্য করে আন্দাজ করা সহজ।
আরও পড়ুন: Magical Benefits: সুস্থ থাকতে লাঞ্চের পর খান গুড় ও দেশি ঘি! এর রয়েছে হাজারো গুণ