
মেয়েদের পুরো শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া নির্ভর করে হরমোনের উপর। ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্ট্রেরন মহিলাদের শরীরের দুই গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। এই দুইয়ের মাত্রা গড়বড় হলেই বিপদ। তখন সেখান থেকে দেখা দেয় একাধিক শারীরিক সমস্যা। মহিলাদের মাসিক বা ঋতুচক্রের জন্য দায়ী এই ইস্ট্রোজেন হরমোন। এই হরমোন অস্বাভাবিক মাত্রায় বাড়তে শুরু করলে তখনও কিন্তু বিপদ। সেখান থেকে পিরিয়ড পিছিয়ে যায় এবং একাধিক সমস্যা হয়। ইস্ট্রোজেন হরমোন হল একরকম স্টেরয়েড হরমোন। যা মহিলাদের প্রজনন অঙ্গের সঙ্গে জড়িত। মহিলাদের প্রজননতন্ত্র, মূত্রনালী, রক্তনালী, হাড়, ত্বক এবং স্তনের একাধিক কার্যকারিতায় প্রভাব রয়েছে এই ইস্ট্রোজেন হরমোনের। ইস্ট্রোজেন হরমোন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকলে পিরিয়ডস শুরু হতেই অনেকখানি দেরী হয়। এছাড়াও ব্রণর সমস্যা, অকারণে মেজাজ হারানো, শরীরের গঠনগত পরিবর্তন এসব হয়েই থাকে।
আর তাই এমন সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে সেই সঙ্গে পরিবর্তন আনতে হবে রোজকার ডায়েটেও। বানিয়ে নিতে পারেন এই বিশেষ খাবার। এতে শরীরে হরমোনের মাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। বানিয়ে নিন এই স্পেশ্যাল দই কাবাব
জল ঝরানো টকদই- ১ কাপ
পনির- হাফ কাপ
গাজর- হাফ কাপ
ক্যাপসিকাম- হাফ কাপ
ব্রকোলি- হাফ কাপ
ঘি- ১ চামচ
গোলমরিচ
রক সল্ট
একটি প্যানে ঘি বুলিয়ে গাজর, ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম হালকা করে ভেজে নিতে হবে। ঢাকা দিয়ে ভেজে নিন যাতে ভাপে সবজি সিদ্ধ হয়ে যায়। এবার পনির গ্রেট করে রাখুন। একটা বাটিতে জল ঝরানো টকদই, পনির, নুন, গোলমরিচ আর বাকি সব সবজি ভাল করে মেখে নিয়ে বলের আকারে গড়ে ফেলুন। এবার সাদা তেলে সেঁকে নিলেই তৈরি কাবাব। দই, ধনেপাতা আর পুদিনা পাতা বেটে চাটনি বানিয়ে নিন।
দইয়ের মধ্যে থাকে প্রোবায়োটিক, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এবং ইস্ট্রোজেন বিপাকে সাহায্য করে। ক্যাপসিকামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গাজরের মধ্যে থাকে প্রচুর ফাইবার যা ইস্ট্রোজেনের ডিটক্সিফিকেশন বাড়ায়। ব্রকোলির মধ্যে থাকে গ্লুকোসিনোলেটস যা লিভারের এনজাইমকে ভেঙে দেয় আর পনিরে থাকা লেপটিন রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে এসব কিছুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁকে সমস্যার কথা জানান। তিনি যে ভাবে পরামর্শ দেবেন সেইভাবেই চলতে হবে।