
সারাদিন অঝোর ধারায় চলছে বৃষ্টি। আর বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণের হারও। পায়ের সংক্রমণ থেকে শুরু করে ত্বকের সংক্রমণ—সবকিছুর ঝুঁকি বাড়ছে দিনে দিনে। অতিরিক্ত আর্দ্রতা, উষ্ণতা এবং জল ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। ফলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াটাও স্বাভাবিক।
এই আর্দ্র পরিবেশে বর্ষাকালে চোখের সংক্রমণ হওয়াটা অত্যন্ত সাধারণ এক সমস্যা। চোখের সংক্রমণ প্রথমে খুব গুরুতর মনে না হলেও সমস্যা হল সময়ের সঙ্গে তা বেড়ে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না করলে তা চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
প্রশ্ন হল কী ভাবে বুঝবেন, আপনার চোখে যে সংক্রমণ বা সমস্যা হচ্ছে তা অন্য কোনও কারণে নয়। তা বর্ষার পরিবেশের কারনে হচ্ছে? কোন লক্ষণ দেখলেই সাবধান হওয়াটা জরুরি।
১। লালচে চোখ: এক বা দুই চোখেই যদি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী লালভাব দেখা যায় তাহলে সাবধান হওয়া প্রয়োজন। এটি সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণ হতে পারে। কনজাংটিভাইটিস, কেরাটাইটিস বা অন্য কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণের ইঙ্গিত হতে পারে।
২। অতিরিক্ত জল পড়া বা স্রাব: চোখ থেকে মাত্রাতরিক্ত জল পড়া ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। হলুদ বা সবুজ রঙের স্রাব সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ইঙ্গিত হয়ে দাঁড়ায়। ঘন স্রাব যা চোখের পাতা বা পাপড়ির ওপর শক্ত হয়ে জমে যায়, তা আরও গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তাই দেরী না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩। চোখে ব্যথা বা অস্বস্তি: চোখের সংক্রমণে হালকা জ্বালা থেকে শুরু করে তীব্র খোঁচা ধরা ব্যথা হতে পারে। পলক ফেলা, চোখ নাড়ানো বা আলোয় তাকানোর সময় ব্যথা বেড়ে গেলে তা কর্নিয়ার সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, যা দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
৪। চোখ ফুলে যাওয়া: চোখের চারপাশে হঠাৎ তীব্র ফোলা দেখা দিলে তা ব্লেফারাইটিস বা সেলুলাইটিসের মতো সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। ফোলার সঙ্গে গরমভাব ও কোমলতা থাকলে তা আরও গভীর সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়।
৫। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা: হঠাৎ দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন, ঝাপসা দেখা, ভাসমান বিন্দু (floaters) দেখা বা আলোতে সংবেদনশীলতা তৈরি হওয়া কর্নিয়াকে প্রভাবিত করা কোনো সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।