শীত মানেই বাড়ে নানা ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার দৌরাত্ম্য। ঠান্ডা লাগার সমস্যা ( Influenza) তো থাকেই সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি-জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বাড়ে এই সময়। এছাড়াও অনেকের কোল্ড অ্যালার্জি (Cold Allergy) থাকে। তাঁরাও কিন্তু শীতেই সবচেয়ে বেশি ভোগেন। সেই সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে ওমিক্রন (Omicron) । ওমিক্রনের উপসর্গ ডেল্টার তুলনায় অনেক হালকা হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) হুঁশিয়ারি- একে মোটেও সহজ ভাবে নেবেন না। ওমিক্রন আর ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গের মধ্যে কিন্তু তেমন কোনও ফারাক নেই। যে কারণেই কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
যে কারণে বাড়ছে উপসর্কগগহীন আক্রান্তের সংখ্যা। SARs-COV-2 ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে শ্বাসযন্ত্রের, গত দুই তরঙ্গে এমন অভিযোগই কিন্তু এসেছে। যে কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া এই সব সমস্যা ছিল। কিন্তু এবার শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথা তেমন কেউ বলেনি। কিন্তু কী ভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাবেন, কী ভাবেই বা ওমিক্রনের সঙ্গে ফারাক করবেন জানুন।
হাঁচি, কাশি, কথা বলা, সর্দি- এসবের মধ্যে দিয়েই কিন্তু করোনার ভাইরাস সংক্রমিত হয়। করোনাভাইরাস বা ইনফ্লুয়েঞ্জা এই দুই কিন্তু শ্বাসযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। দুটোই কিন্তু ছোঁয়াচে- বলছেন চিকিৎসক সংকেত জৈন। পালমোনোলজিস্ট, মাসিনা হাসপাতাল মুম্বই। তাঁর কথায় করোনা বা ইনফ্লুয়েঞ্জা বায়ুবাহিত। হাঁচি, কাশির মধ্যে দিয়ে সহজেই আক্রান্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, বিশেষত বয়স্করা তাঁরাই কিন্তু আগে আক্রান্ত হন। করোনা বা ফ্লু যে কোনও একটায় আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং মাথাব্যথার মত সমস্যা থাকে।
তবে করোনাভাইরাস এবং ওমিক্রনের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক জৈন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পেতে কিছুদিন সময় লাগে। সেক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণ দ্রুত প্রকাশ পায়। এদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়াতে বেশি সময় লাগে কিন্তু করোনা ছড়ায় খুবই কম সময়ের মধ্যে। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই রোগ লক্ষণ দেখা দেয়। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে তা ১৪ দিন পরেও হতে পারে। আর তাই RT-PCR বা অ্যান্টিজেন পরীক্ষাই কিন্তু একমাত্র ভরসা। যতক্ষণ না রিপোর্ট হাতে পাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন। মাস্ক পরুন। বার বার হাত ধুতে হবে। আপনার ব্যাবহার্য সব কিছুতেই স্যানিটাইজার স্প্রে করুন। সেই সঙ্গে উপসর্গের দিকে খেয়াল রাখুন। সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলুন। এছাড়াও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মেনে চলতেই হবে কোভিড বিধি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: High cholesterol: শরীরের এই সব জায়গায় ব্যথা? কোলেস্টেরল বাড়ার ইঙ্গিত কিন্তু! তাই অবহেলা নয়…