
ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ভারতে অতি দ্রুতহারে বাড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। ডায়াবেটিস দু রকমের হয়। টাইপ ১ আর ২। যাদের পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের টাইপ ১- আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইকতে বেশি। এখন বেশিরভাগ মানুষ আক্রান্ত হন টাইপ ২–তে। এর মূল কারণ হল জীবনযাত্রা। মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস, ঘুম কম হওয়া, বাইরের খাবার বেশি খাওয়া, একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকা, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা এসব থেকে আরও বেশি হয় সুগারের সমস্যা। রক্তশর্করা বাড়লে তার বেশ কিছু লক্ষণ থাকে। সারাক্ষণ ঝিমুনি, চোখ জ্বালা করা, খিদে কমে যাওয়া, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, পায়ে ব্যথা ইত্যাদি। এছাড়াও রক্ত শর্করার মাত্রা বাড়লে ত্বকের উপরেও এর প্রভাব পড়ে। সেই সব লক্ষণ দেখলেও সতর্ক হতে হবে।
অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিকানস- সুগার বাড়লে ত্বকে কালো প্যাচ দেখা যায়। বগলে, কোমরে, হাতে, কনুইতে এই প্যাচ দেখা দেয়। আবার হাঁটুতেও তা দেখা দিতে পারে। আবার ওজন অতিরিক্ত বাড়লে সেখান থেকেও একাধিক সমস্যা হতে পারে। আর তাই নিজের লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রথমেই চেষ্টা করুন ওজন কমানোর।
ডায়াবেটিক ডার্মাপ্যাথি- এই অবস্থা শিন স্প্লিন্ট নামেও পরিচিত। দাগগুলি ত্বকে লাল বা বাদামী গোলাকার দাগ বা রেখার মত দেখায় এবং ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে এটি সাধারণ। এই দাগগুলো পায়ের সামনের দিকে দেখা যায়। এই দাগ থেকে ব্যথা হয় না। তবে দাগের জন্য কোনও সমস্যা হলে আগে চিকিৎসকের কাছে যান।
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুলকানি-এসব বাড়ে সুগার বাড়লে। তবে ত্বক সংক্রান্ত কোনো সমস্যাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। রক্তে অত্যধিক সুগার থাকলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্লুইড কোষ শোষণ করে। যে কারণে বেশিবার প্রস্রাবে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে আর ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়
এরকম সমস্যা হলে নিয়মিত ভাবে সুগার চেক করুন। যাতে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্নানের সময় খুব বেশি গরম জল ব্যবহার করবেন না। সব সময় হালকা ক্ষার যুক্ত সাবান, বডি লোশন এসব ব্যবহার করুন। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতেই হবে। এতে রক্তসঞ্চালন ঠিক থাকবে।