
জলের (Water) অপর নাম জীবন। আমাদের শরীরের ৭০ থেকে ৬০ শতাংশ জল। পরিমিত জল পান না করলে শরীরে অনেকরকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন মানুষের দিনে অন্তত ৩.৭ লিটার জল খাওয়া উচিত। জল আমাদের শরীরের হজম (Digestion) থেকে শুরু করে একাধিক কাজে সাহায্য করে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু জল পান করলেই হবে না। সেই সঙ্গে, সঠিক ভাবে জল পান করাটাও সমান জরুরি। আমরা অনেকেই জল পানের সঠিক পন্থা সম্পর্কে অবগত নই। আসুন জেনেনি আয়ুর্বেদ (Ayurveda) শাস্ত্র মতে জল পানের সঠিক পদ্ধতি কোনটি…
সর্বদা বসে জল খান: আমরা বেশিরভাগ সময়ই দাঁড়িয়ে জল পান করি। কিন্তু শরীরের জন্য এটি একেবারেই ভাল নয়। কারণ এতে হাড় বা জয়েন্টের উপর খারাপ প্রভাব পরে। ফলে শরীরের নানান সমস্যা দেখা দেয়। যদি আপনার দাঁড়িয়ে জল পানের অভ্যাস থাকে তবে তা অবিলম্বে ত্যাগ করুন।
ধীরে ধীরে জল পান করুন: এক চুমুকে জল পান করা কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। চেষ্টা করুন ধীরে ধীরে এবং বিরতি নিয়ে জল পান করতে। এতে হজমও ভাল হয়।
ঠান্ডা জল খাবেন না: গরমকালে আমারা অনেকেই ঠান্ডা জল পান করতে পছন্দ করে থাকি। কিন্তু আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, ঠান্ডা জল খাওয়া বর্জন করা উচিত। কারণ এতে হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবসময় চেষ্টা করুন ঘরের তাপমাত্রায় থাকা জল পান করতে। আর শীতকালে ঈষৎ উষ্ণ জল পান করুন। এতে হজম শক্তি বাড়বে এবং কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ঘুম থেকে উঠে জল খান: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার প্রথম জল পান করা উচিত। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এটিকে ‘উষাপান’ বলে। এতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। ঠান্ডা জলের পরিবর্তে যদি গরম জল খেতে পারেন তাহলে আরও ভাল। কারণ এতে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
শরীরে জলের ঘাটতিকে শনাক্ত করুন: ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যায়? মূত্রের রঙ ক্রমশ গাঢ় হয়ে যাচ্ছে? এগুলি কিন্তু মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে এই ধরণের সমস্যা হয়।
তামার পাত্রে জল খান: শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে তামার পাত্রে জল খান। আয়ুর্বেদ মতে শরীরের পিত্ত, কপ, বায়ুর প্রবণতা কমাতে তামার পাত্রের জল সাহায্য করে। তামার পাত্রে জল পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এমনকি এটি ক্যানসারের মতো মারণ রোগ থেকে দূরে রাখে।