
প্রখর রোদ তার উপর পারদ ছুঁয়ে গিয়েছে ৪০ ডিগ্রি। আর অফিসে ঢুকলেই তাপমাত্রা কমে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকী বাড়ি ফিরেও সবার প্রথমে এসির রিমোটে হাত। এসি না চালালেও রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই গলায় ঢালছেন ফ্রিজে ঠান্ডা জল। যদিও এই গরমে ঠান্ডা হাওয়া আর ঠান্ডা জল ছাড়া কিছুতেই স্বস্তি মিলছে না। কিন্তু এই অভ্যাসেই বাড়ছে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশির সমস্যা। আর তার সঙ্গে তো রয়েছে কোভিডের ঝুঁকিও। বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই নাক টানছেন। নাক দিয়ে জল পড়ছে, শুয়েই নাক বন্ধ হয়ে আসছে, তার সঙ্গে কফ বেরোচ্ছে। যেহেতু এই মরশুমে ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিডের মতো ভাইরাসের দাপট বেড়েছে, তাতে ঠান্ডা লাগার সংক্রমণগুলো জোরাল হয়ে উঠছে। আর তার সঙ্গে তো সর্দি-গর্মির সমস্যা রয়েছে।
যদি আপনার সর্দি-গর্মির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কী করবেন?
১)কিন্তু যেহেতু এখন কোভিড সংক্রমণও বাড়ছে তাই উপসর্গগুলো অবহেলা করবেন না। বরং, এই সময়ে মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে আপনি কোভিড, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসের সংক্রমণও প্রতিরোধ করতে পারবেন। তার সঙ্গে স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করুন।
২) গরমে সুস্থ থাকতে গেলে আপনাকে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এটাই গরমে চাঙ্গা থাকার একমাত্র দাওয়াই। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে জ্বরও দ্রুত কমে যায়। এছাড়া সর্দি-কাশির সমস্যাকেও সহজে এড়ানো যায়।
৩) জলের পাশাপাশি ফলের রস, তাজা ফল, ডাবের জল খান। ডায়েটের উপর নজর দেওয়াও এখন জরুরি। মরশুমি সবজি খান। এই সময় তেল মশলাযুক্ত খাবার যত এড়িয়ে যাবেন, ততই ভাল।
৪) কোভিড সংক্রমণের পর থেকে মানুষ বেশি সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন। কোভিড ভাইরাসের দাপটে কমবেশি সকলের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই এখন যদি আপনি সাধারণ সর্দি-কাশির সমস্যাতেও ভোগেন, তাতেও বেশ কষ্ট হচ্ছে। বুকে কফ বসছে। এক্ষেত্রে আপনি গরম ভাপ নিতে পারেন। দিনে তিন-চারবার গরম ভাপ নিন, এতে কফ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৫) রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাবেন না। একইভাবে, ৪০ ডিগ্রি থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢুকলেই সর্দি-গর্মির সমস্যা হবে। জ্বর হলে আপনি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। যদি অবস্থার অবনতি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্য নিন।