AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Diabetes: এই গাছের পাতা থেকে গোড়া পর্যন্ত চিবিয়ে খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইনসুলিন, বাড়বে না সুগার

Health benefits of chirata: আগের রাতে চিরতার কাণ্ড ভিজিয়ে রেখে পরদিন ছেঁকে খেলে ভাল ফল পাবেন।

Diabetes: এই গাছের পাতা থেকে গোড়া পর্যন্ত চিবিয়ে খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইনসুলিন, বাড়বে না সুগার
চিরতার জলেই হবে সমস্যার সমাধান
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2022 | 8:56 AM
Share

বর্তমানে ঘরে ঘরে খুব সাধারণ সমস্যা হল ডায়াবেটিস। প্রায় প্রতি পরিবারে অন্তত একজন সদস্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিস ২ রকমের হয়ে থাকে। টাইপ ১ এবং টাইপ ২। টাইপ ১ হল মূলত জিনগত। অর্থাৎ পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিস থাকলে সেখান থেকে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রক্তপরীক্ষায় যদি সুগার ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাবেন। নিজের থেকে ওষুধের ডোজ ঠিক করবেন না। আর পাশাপাশি মেনে চলবেন ডায়েটও। ডায়েট মেনে চলা খুব জরুরি। অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খাওয়া যাবে না। প্রোটিন, ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কত ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন সেইদিকে নজর রাখুন। রোজ নিয়ম করে ৩০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে পরিশ্রম করুন।

ডায়াবেটিসের সঠিক কারণ কী তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। অগ্ন্যাশয় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি না হলে বা কোনও কারণে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে গেলে তখনই হয় এই সমস্যা। আর তাই নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা এবং ডায়েট মেনে চলা খুবই জরুরি। পাশাপাশি এটুকু মাথায় রাখা প্রয়োজন যে ডায়াবেটিস কখনই সম্পূর্ণ ভাবে সেরে যায় না। একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। এছাড়াও ত্বকের রং পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রস্রাব পেলে, তীব্র গন্ধ যুক্ত প্রস্রাব হলে, ঘন ঘন খিদে পেলে বা ক্ষুদামন্দা হলে আগে থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এছাড়াও যদি প্রায়শই ফোঁড়া হয় তাহলেও সাবধানে থাকা দরকার। প্রত্যেক মানুষের উচিত বছরে অন্তত ২ বার সুগার চেক করানো। কারণ ডায়াবেটিস বাড়লেই কিডনি, চোখ এবং হার্টের উপর তার প্রভাব পড়ে।

আর তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে রোজকার ডায়েটের সঙ্গে সকালে উঠে খান চিরকার জল। চিরতার একাধিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকেই সুস্বাস্থ্যের জন্য আয়ুর্বেদে ব্যবহার হয়ে আসছে এই চিরতা। জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের সমস্যা, ক্ষুদামন্দা, কৃমির সমস্যা, চর্মরোগ, লিভারের সমস্যা, পেটে ফোলা ভাব এবং ক্যানসার রুখে দেওয়ার মত ক্ষমতা রয়েছে চিরতার মধ্যে। এছাড়াও স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও কাজে আসে এই চিরতা।

অনেকে আগের রাতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন ছেঁকে খান চিরতার জল। অনেকে আবার জলে চিরতা, লবঙ্গ আর দারুচিনি ফেলে ফুটিয়ে খান। আবার চিরতার পাতা জলে ফেলে ফুটিয়েও খাওয়া যেতে পারে।