
কিডনির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন। অধিকাংশ সময়ই কিডনির ক্যানসার একদম শেষে গিয়ে ধরা পড়ে। কারণ এর উপসর্গ প্রায় থাকে না বললেই চলে। বর্তমানে কিছু লক্ষণের কথা উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকেরা। যা সাধারণত রাতের দিকেই দেখা যায়। এর মধ্যে প্রধান হল রাতে ঘাম। এই রাতে ঘাম হওয়ার অন্যতম কারণ হল শরীরের বাকি কোষগুলো ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর হরমোনের পরিবর্তনও বর্তমানে কিডনি ক্যানসারের অন্যতম কারণ।
আমাদের শরীরের অন্যতম অঙ্গ হল কিডনি। কিডনির মাধ্যমেই সবকিছু পরিশ্রুত হয়। অধিকাংশ মানুষ কিডনি ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ এড়িয়ে যান আবার অনেকের ক্ষেত্রে একমাত্র অ্যাডভান্সড স্টেজে এসে ধরা পড়ে। ঠিকমতো চিকিৎসা করালে কিডনির ক্যানসারও সম্পূর্ণ ভাবে নির্মূল করা যায়। আগে থেকে রোল লক্ষণ ধরা যায় না বলে সমস্যা একটু হতেই পারে তবুও যে সব বিষয় দেখলে একেবারেই উপেক্ষা করবেন না তা হল-
কিডনির মাধ্যমেই আমাদের শরীরের রক্ত পরিশ্রুত হয়। শরীরে ফিল্টার হিসেবে কাজ করে এই কিডনি। কিডনির সমস্যা হলে পুরো শরীরেই তার প্রভাব পড়ে। ওবেসিটির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান এবং বয়স বাড়লে কিডনি ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেকেই আছেন যাঁদের রাত্রে অতিরিক্ত ঘাম হয়। শীতকাল হোক বা গরম এই ঘাম হতেই থাকে। আর এই ঘাম কিডনি ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ। অনেকের এমন জবজবে ঘাম হয় যে দেখলে মনে হবে এক্ষুণি স্যুইমিং পুল থেকে উঠে এসেছেন। তবে এই ঘাম দেখেই যে শনাক্ত করা যাবে এমনটা হয়। এখনকার যে আবহাওয়া তাতে ঘাম হওয়া খুব স্বাভাবিক। আর ঘাম অন্য রোগেরও লক্ষণ হতে পারে।
হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও ঘাম হতে পারে। আবার যাদের রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি চলছে তাঁদের ক্ষেত্রেও হতে পারে এই সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বর্তমানে ভারতে ছেলেদের মধ্যে ১০,৩৫৪ জন আর মেয়েদের মধ্যে ৬৫০৭ জন কিডনির ক্যানসারে ভুগছেন। যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের এই কিডনি ক্যানসারে আক্রান্তের সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। ব্রিটেনের একটি রিসার্চ বলছে ৫০-৭০ বছর বয়সের মধ্যে বাড়ছে এই কিডনি ক্যানসারের সম্ভাবনা। আর এর অন্যতম কারণ হল বর্তমান জীবনযাত্রায় পরিবর্তন। অন্তত ৪২ শতাংশের ক্ষেত্রে এর অন্যতম কারণ হল ওবেসিটি ও ধূমপান।
নিয়মিত মদ্যপান, ধূমপান কিডনি ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও যে বিষয়গুলি উপেক্ষা করবেন না তা হল-
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।