লো-প্রেশারের লক্ষণ কী, কেন আচমকা কমে যায় রক্তচাপ, কীভাবে সাবধান হবেন

Dec 08, 2020 | 5:48 PM

অনেকের ক্ষেত্রেই লো-প্রেশার কোনও সমস্যা তৈরি করে না। তবে কিছু লোকের ক্ষেত্রে মারাত্মক ভাবে শরীর দুর্বল করে দেয়।

লো-প্রেশারের লক্ষণ কী, কেন আচমকা কমে যায় রক্তচাপ, কীভাবে সাবধান হবেন
লো ব্লাড প্রেশার

Follow Us

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের সমস্যা যেমন সত্যিই চিন্তার কারণ, চিকিৎসকরা বলছেন ঠিক তেমনই লো-প্রেশার বা হাইপোটেনশনের ফলেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। মেডিকেল সায়েন্স অনুসারে ১২০/৮০ হল নরমাল প্রেশার। এই প্রেশার যখন কমে ৯০/৬০ হয় তখন তাকে লো-প্রেশার বা হাইপোটেনশন বলা হয়। লো-প্রেশার সেই অর্থে নিজে কোনও ভয়ঙ্কর বড় সমস্যা না হলেও, এর প্রভাবে শরীরের অন্যান্য কমজোরি বা অসুখ আচমকা বেড়ে যেতে পারে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অনেকের ক্ষেত্রেই লো-প্রেশার কোনও সমস্যা তৈরি করে না। তবে কিছু লোকের ক্ষেত্রে মারাত্মক ভাবে শরীর দুর্বল করে দেয়।

লো-প্রেশারের লক্ষণ:

  • যাঁদের প্রেশার লো তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই বেশ দুর্বল হন। সবসময় মাথায় ঝিম ধরা ভাব, ক্লান্ত-অবসন্ন শরীর, আচমকা মাথা ঘুরে যাওয়া, চোখের সামনে হঠাৎই অন্ধকার দেখা এইসব সমস্যা হয়ে থাকে। আচমকা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও থাকে।
  • গা-গোলানো বা বমি পাওয়ার ভাব থাকলে লো-প্রেশারের কারণে।
  • সবসময় জল তেষ্টা পায়। গলা-ঠোঁট শুকিয়ে থাকে।

কোন কোন সময় আচমকা প্রেশার নেমে যেতে পারে:

  • হঠাৎ কোনও শক পেলে, ট্রমায় চলে গেলে বা রক্তক্ষরণ দেখলে প্রেশার ফল করতে পারে অর্থাৎ একধাক্কায় অনেকটা কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না। এর জেরে বড় বিপদ হতে পারে।
  • অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন প্রথম ২৪ সপ্তাহ মহিলাদের প্রেশার কমে যায়। পরে অবশ্য তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
  • হার্টের সমস্যা থাকলে, হার্ট অ্যাটাক হলেও প্রেশার আচমকা কমে যেতে পারে।
  • শরীরে জল কমে গেলে অর্থাৎ ডিহাইড্রেশন হয়ে গেলে প্রেশার কমে যায়। সাধারণ জ্বর হলে, পেটের সমস্যায় কিংবা একাধিক বার বমি হলে বা ডায়রিয়া জাতীয় সমস্যায় প্রেশার কমে যায়।
  • দীর্ঘক্ষণ ওয়ার্ক-আউট করলেও প্রেশার ফল করতে পারে।
  • এছাড়া খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, অপুষ্টি, ভিটামিনের অভাব এবং ভুল ওষুধ বা অনেকদিন টানা এক ওষুধ খাওয়ার ফলেও প্রেশার কমতে পারে।

সাবধান হতে কী কী করবেন:

  • প্রথমে চিন্তা দূর করুন। মানসিক ট্রমা কাটিয়ে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করুন। উচাটন কমান। এ ক্ষেত্রে রোগীর আশেপাশের লোকেদেরও খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনও কারণেই রোগীর মানসিক শান্তি বিঘ্নিত না হয়। শান্ত পরিবেশে থাকতে হবে।
  • অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করুন। প্রয়োজনে ওষুধ খাবেন, তবে সেটা ডাক্তারের পরামর্শে। শরীরে লবণের পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে।
  • খুব বেশি দৌড়ঝাঁপ না করাই ভাল। খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়াবেন না। কখনই একটানা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। মাঝে মাঝে বসে বিশ্রাম নিন।
Next Article