Honey With Lukewarm Water: গরম জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান? ওজন কমাতে এই পানীয় খাওয়ার সেরা সময় কখন?
Health Benefits: প্রাকৃতিকভাবে এই পানীয় শরীরের যে কোনও সমস্যাতেই কাজে লাগে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য।
ফ্যাট বার্ন করতে রোজ খালি পেটে মধু (Honey) ও গরম জল (warm water) পান করার অভ্যেস রয়েছে অনেকের। আর পুষ্টিকরের দিক থেকে মধুর গুরুত্ব (benefits of honey) রয়েছে প্রথম সারিতেই। আয়ুর্বেদ (Ayurveda) থেকে যে কোনও চিকিত্সা মাধ্যমেই মধুর ভূমিকা অপরিহার্য। রোজ খাঁটি মধুর গুণে বাইরের বিভিন্ন রোগভোগ থেকে মুক্তি যেমন পাওয়া যায়, তেমনি মধুর উপকারী গুণের বহরে শারীরিক অনেক সমস্যা থেকেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়। মধুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটোরিয়াল বৈশিষ্ট্যও, যা বাইরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
ডিটক্সিফিকেশন ও ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রতিকার হিসেবে হালকা গরম জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করা হয়। এই পানীয় গলা ব্যথা থেকে চুল পড়ার সমস্যা পর্যন্তও উপশম করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে এই পানীয় শরীরের যে কোনও সমস্যাতেই কাজে লাগে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য।
গরম জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে স্বাস্থ্যের যেমন উপকারে লাগে তেমনি শরীরের জেদি অতিরিক্ত মেদ হঠাতেও এই পানীয় বিশেষ জনপ্রিয়। গবেষণা বলছে, গরম জলের সঙ্গে মধু খাওয়া হবে রক্তে শর্করা ও অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপের উপর কোনও রকম নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াই প্রতি সপ্তাহে ৯০৭ গ্রাম করে ক্যালোরি বার্ন করা সম্ভব। ওজনের পাশাপাশি এই মির্যাকল মিশ্রণটি আরও বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সেগুলি কী কী, তা জেনে নিন…
১. হজমে সাহায্য করে-
রাতে গরম জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে হজম প্রক্রিয়া ভালোভাবে কাজ করে। কারণ মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা পেটের অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। মধুর ব্যবহারে কোলনও উপকার পেতে পারে। সংমিশ্রণটি শরীরকে হাইড্রেট করতে, অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। গ্য়াস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে।
২. কাশি থেকে মুক্ত করে
২০০৭ সালে একটি গবেষণায় বলেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কাশি উপশমকারী হিসেবে মধু ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, রাতের দিকে কাশির মাত্রা বেড়ে যায়। রাতের দিকে কাশি কম করতে বিশেষ করে শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের প্রভাব বেশি পড়ে। মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও গলা ব্যথার উপশম করতে সাহায্য করে।
৩. ত্বকের যত্নে দারুণ কার্যকরী
মধু হল একটি প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট। তার অর্থ হল শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে মধু দারুণ কার্যকরী। ত্বককে হাইড্রেটেড ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে
শীতকালে স্বাভাবিকভাবেই জল কম খাওয়া হয়। ফলে পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। সবচেয়ে বেশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি হয় এই সময়ে। শুষ্ক মল, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিত্সার জন্য যদি চটজলদি উপশম পেতে চান, তাহলে তার প্রতিকার হিসেবে মধু অনেক কার্যকরী উপাদান।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালের বৈশিষ্ট্য, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
সেরা সময়
হালকা গরম জলের সঙ্গে মধু খাওয়ার সর্বোত্তম সময় কখনও কখনও ব্যক্তি ও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যের চাহিদার উপর নির্ভর করতে পারে। অনেকে সকালে খালি পেটে মধু ও হালকা গরম জল পান করা বিশেষ উপকারী বলে মনে করেন।
সকালে খালি পেটে পান করলে পেটের রোগ সারাতে, ওজন কমাতে সাহায্য করে। সামগ্রিক হাইড্রেশনের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। শোওয়ার আগে যদি খাওয়া যায়, তাহলেও এর উপকারিতা রয়েছে। গলার ব্যথা উপশম করতে, ভাল ঘুমের জন্য সাহায্য করে। খাওয়ার আগে পান করলে হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)