Fatty Liver: মদ্যপান নয় এই ৫ কারণেই বারোটা বাজছে আপনার লিভারের

Fatty Liver: অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সাধারণত অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হয়, অন্যদিকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের পেছনে একাধিক দৈনন্দিন অভ্যাস দায়ী হতে পারে। রইল তেমন ৫ বদঅভ্যাস যা বিপদ ডেকে আনছে অলক্ষ্যে।

Fatty Liver: মদ্যপান নয় এই ৫ কারণেই বারোটা বাজছে আপনার লিভারের

Jul 17, 2025 | 1:08 PM

প্রতিদিনের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, উলটো পালটা খাবার দাবার খাওয়া এই সবের কারণে বিপদে পড়তে হয় আমাদেরই। খারাপ হতে শুরু করে লিভারের হাল। সময়ের সঙ্গে যা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এমন এক অবস্থা যখন আমাদের লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়।

সাধারণত যাঁরা অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতায় ভোগেন, তাঁদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। ফ্যাটি লিভার ডিজিজের দুটি প্রধান ধরন রয়েছে। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ।

অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সাধারণত অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হয়, অন্যদিকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের পেছনে একাধিক দৈনন্দিন অভ্যাস দায়ী হতে পারে। রইল তেমন ৫ বদঅভ্যাস যা বিপদ ডেকে আনছে অলক্ষ্যে।

১। প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া – চিপস, পেস্ট্রি, চিনি মিশ্রিত খাবার এবং ইনস্ট্যান্ট নুডলসের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেলে লিভারে চর্বি জমার সম্ভাবনা বাড়ে। এই খাবারগুলিতে সাধারণত পরিশোধিত চিনি, অস্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রিজারভেটিভ বেশি থাকে, যা লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং চর্বি জমার কারণ হয়।

২। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ – প্রতিদিন মিষ্টি পানীয়, মিষ্টি খাবার ও ডেজার্ট খেলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হতে পারে। এটি লিভারে চর্বি জমার প্রধান কারণ। অতিরিক্ত চিনি লিভারে চর্বিতে রূপান্তরিত হয়ে জমে যায় এবং লিভারের ক্ষতি করতে পারে।

৩। অ্যালকোহল সেবন – মাঝেমধ্যে অল্প পরিমাণে খেলেও নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ করলে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজও হতে পারে। অ্যালকোহল লিভারের প্রদাহ বাড়ায় এবং চর্বি উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে, সেইসঙ্গে লিভারের চর্বি ভাঙার ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়।

৪। অলস জীবনযাপন – শারীরিক পরিশ্রমের অভাব হলে দেহের বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং চর্বি পোড়ানোর ক্ষমতা কমে যায়। এতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে চর্বি জমে, যার মধ্যে লিভার অন্যতম। এটি বাড়িয়ে দেয় ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি।

৫। ভাল ঘুমের অভাব – যথেষ্ট ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ইনসুলিন সেনসিটিভিটি কমে যায়। ঘুম বঞ্চিত মানুষদের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি ও চর্বি জমার প্রবণতা বেশি থাকে, যা যকৃতে চর্বি জমার মাধ্যমে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ায়।