
বর্ষায় ফ্লু প্রতিরোধ করতে এক কাপ গরম জলে ভেষজ উপকরণ দিয়ে পান করলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যায়। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভেষজ পানীয়ের উপর জোড় দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সক থেকে বিজ্ঞানীরা।

একে করোনা অতিমারি, তার উপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো উদ্বেগ বাড়ছে বর্ষাকালীন ফ্লুয়ের। এই সমস্যা থেকে যাতে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়, তার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘরোয়া উপায়ের কথা বলা হয়েছে, দেখে নিন...

মুলেথির অপর নাম লিকারিস। এই ভেষজটি শতাব্দী প্রাচীনকাল থেকেই ঠান্ডাস কাশি, জ্বর, সর্দির উপশমের জন্য ব্যবহার হয়। রোগ প্রতিরেোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও লিভারকে সুস্থ রাখতে মুলেথি ভাল। এছাড়া বুকে সর্দি বসে গেলে, প্রবল সর্দি ও কাশি কমাতে এই ভেষজের জুড়ি নেই।

বাইরের জীবাণু থেকে রক্ষা করতে, অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে মুলেথি সেবন করা বেশ উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, হজমশক্তি উন্নত করতেও এই প্রাকৃতিক উপাদান সেবন করতে পারেন।

ব্রাহ্মী হল আয়ুর্বেদের অন্যতম জনপ্রিয় উপাদান। এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ফ্রি র্য়াডিক্যালগুলি পরিস্কার করতে সহায়তা করে। সংক্রমণ ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। মানসিক চাপ কমাতে ও দুশ্চিন্তা দূর করতে ব্রাহ্মী শাকের রস দারুণ উপকারী।

ভারতীয়দের প্রায় সব বাড়িতেই তুলসী গাছ রাখা থাকে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি ও জিঙ্ক। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও ফাইটোকেমিক্যালস, বায়োফ্লাভোনয়েডস , অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের যৌগের সংমিশ্রণ।সাধারণ ঠান্ডা থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্টের উপশম করতে সহায়তা করে। কাশি থেকে তীব্র হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিসের প্রতিকার মিলতে পারে তুলসী পাতার রস থেকে।

হেঁসেলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হল আদা। এই ভেষজের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। জিনজেরল যৌগের উপস্থিতির কারণে এটি অনাক্রম্যতা বৃদ্ধিকে হ্রাস করতে সক্ষম হয়।

বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল মশলা হল এলাচ। এর সুমিষ্ট স্বাদ ও গন্ধ-যুক্ত এই ভেষজে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, যা ক্ষতিকর ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজের গুণ রয়েছে। অন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখতে ও হজমের নানান সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।