
শরীরের সবচাইতে সংবেদনশীল অঙ্গের মধ্যে অন্যতম হল কান। কানোর সঙ্গে নাক এবং গলারও যোগ থাকে। বাইরের শব্দশোনার একমাত্র মাধ্যম হল কান। মস্তিষ্ক, নাক, মুখ, চোখের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যোগ থাকে কানের। আর এই শব্দ শুনলেই কিন্তু শরীর, মন অন্যান্য কিছু থেকে দূরে থাকে। আর কানে একবার ব্যথা হলে সেই সঙ্গে দাঁত, মাথাতেও যেন ব্যথা করতে থাকে। একইভাবে দাঁতে ব্যথা হলে কানেও ব্যথা করতে থাকে। শীতে সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা লাগে কানে। গলায় স্কার্ফ বাঁধলেও কান খালি থাবে। ঠাণ্ডা হাওয়া পুরোপুরি কানে লাগলেই ব্যথা বেশি হয়। শীতকালে যে কোনও সংক্রমণজনিত সমস্যা বাড়ে। আর তাই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকেও কানে ব্যথা হতে পারে। কানে ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে এই সব ঘরোয়া উপায়েই করুন প্রতিকার-
তুলসির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। আছে ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য। যা ব্যথা এবং সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা ভাল কপে পিষে নিয়ে তার রস কানের আশপাশে লাগালেও উপকার পাওয়া যায়।
যে কোনও ব্যথা কমাতে কাজে আসে লবঙ্গের তেল। লবঙ্গের তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। আর তাই কানের ব্যথা উপশমে অনেকেই লবঙ্গ তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তিল তেলের মধ্যে লবঙ্গ ফেলে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ঠাণ্ডা করে নিয়ে যে কানে ব্যথা তাতে ১ ফোঁটা তেল ফেলে দিন।
টি ট্রি অয়েলের মধ্যে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কানের ব্যথার জন্য খুবই কার্যকরী। এছাড়াও কাজে লাগাতে পারেন অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার তা ভাল করে মিশিয়ে মাত্র ১ ফোঁটা কাজে লাগান।
রসুন আর আদা কানের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। তিন কোয়া রসুনের সঙ্গে এক চিমটে নুন মিশিয়ে কাপড়ে বেঁধে রাখুন। আদার রস বের করে তাও কানে লাগাতে পারেন। ইউক্যালিপটাস তেল একফোঁটা কানে লাগিয়ে গরম কাপড়ের সেঁক দিন। এতেও কাজ হবে।
তবে এসব করার আগে কানে ব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। এতেই কিন্তু সবচাইতে ভাল কাজ হবে।