Child’s Bone Health: শিশুর হাড়ের বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত? শৈশব থেকেই খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সব পুষ্টি

Essential Nutrition: ১৮ পেরিয়ে গেলে হাড়ের বৃদ্ধিও ধীর হয়ে যায়। সুতরাং, ছোট বয়স থেকেই আপনাকে খুদের হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

Child’s Bone Health: শিশুর হাড়ের বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত? শৈশব থেকেই খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সব পুষ্টি
শৈশব থেকে বাচ্চার খাদ্যতালিকার উপর বিশেষ নজর দিন...Image Credit source: Getty Images

| Edited By: megha

Jan 05, 2023 | 12:18 PM

সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে সব বাবা-মায়েরাই চিন্তায় থাকেন। শিশুর বৃদ্ধি যাতে ভাল হয়, তার জন্য দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার দিকে বিশেষ নজর দেন অভিভাবকেরা। হাড় ও মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য শৈশব থেকে যত্নবান হতে হয়। আর ছোট বয়সে বাচ্চা খেলাধুলো করবে এটাই স্বাভাবিক। আর এতে তার হাড় মজবুত ও শক্তিশালী হবে। কিন্তু অনেক সময় বাচ্চাদের হাড় শক্তিশালী হয় না। ফলে, অল্প চোটেই বেশি আঘাত পায়। অনেক ক্ষেত্রে এটা হাড়ের ঘনত্ব কম হওয়ার জন্যও হয়। ১৮ পেরিয়ে গেলে হাড়ের বৃদ্ধিও ধীর হয়ে যায়। সুতরাং, ছোট বয়স থেকেই আপনাকে খুদের হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। এর জন্য আপনাকে বাচ্চার খাদ্যতালিকার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবারই একমাত্র আপনার সন্তানের হাড়ের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারে।

ভিটামিন ডি: হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি অপরিহার্য। এই পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সূর্যের আলো। শীতের মরশুমে সপ্তাহে তিন দিন অন্তত ৫-১০ মিনিট রোদে বাচ্চাকে বসতে বলুন। তার হাতে-পায়ে যাতে রোদ লাগে সে দিকে খেয়াল রাখুন। এছাড়া ডিম, মাশরুম, দুগ্ধজাত পণ্যে ভিটামিন ডি রয়েছে, কিন্তু সীমিত পরিমাণে। সুতরাং, সূর্যালোকই এক্ষেত্রে আপনার ভরসা।

ক্যালশিয়াম: শরীরে এই পুষ্টির অভাব হাড়ের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। আর ছোট বয়স থেকে যদি শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখা যায় তাহলে বড় হয়েও হাড়ের সমস্যা এড়ানো যায়। তাছাড়া এই পুষ্টি পেশি গঠনেও সাহায্য করে। ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে আপনি খুদের খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত পণ্য অর্থাৎ দুধ, টক দই, ছানা, পনির ইত্যাদি রাখুন। আর যদি আপনার সন্তানের দুধে অ্যালার্জি থাকে তাহলে সোয়াবিন, সোয়া দুধ, টোফু ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন। এছাড়া সবুজ শাকসবজি অর্থাৎ পালং শাক, পটল, ঢ্যাঁড়শ, বাঁধাকপি, ফুলকপি খাওয়ান। শীতের মরশুমে কমলালেবু খাওয়াতে পারেন।

ভিটামিন কে ও ম্যাগনেশিয়াম: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের শরীরে ভিটামিন কে ও ম্যাগনেশিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে, তাঁদের মধ্যে হাড়ের ক্ষয়ের ঝুঁকি কম। তাঁদের শরীরে হাড়ের ঘনত্ব ঠিক থাকে এবং বাতের সমস্যা থাকে না। তাই এই দুই পুষ্টির জন্য আপনি সন্তানের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি বেশি করে রাখুন। সবুজ রঙের আনাজ ও শাকের মধ্যে এই দুই পুষ্টিই পাওয়া যায়।

শরীরচর্চা: আপনার শিশু যদি দিনের বেশিরভাগ সময় মোবাইল, গ্যাজেটে সময় কাটায় তাহলে মুশকিল। বৃদ্ধির মুখে অলসতা আপনার সন্তানের জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে বাবা-মা হিসেবে আপনাকে এখন থেকে সচেতন হতে হবে। বাচ্চা যাতে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে সে দিকে খেয়াল রাখুন। সাঁতার, সাইকেল, ক্রিকেট, ফুটবলের মতো খেলাতেই আপনার সন্তানের শরীরচর্চা হয়ে যাবে। আর আলাদা করে যোগব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। কিন্তু শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা ভীষণ জরুরি। তবেই হাড় মজবুত হবে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।