Stroke in Elderly Adults: পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ, চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। জেলায় জেলায় তাপমাত্রা পেরিয়েছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতাতেও পারদের কাঁটা ছুঁয়েছে ৪০-এ। টানা ৪৪ দিনেরও বেশি বৃষ্টি নেই রাজ্য। গরমে-ঘামে ছোট থেকে বড় সকলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। বাড়িতে থাকলেও নিস্তার নেই ঘামের হাত থেকে। বেশিরভাগ বাড়িতেই গৃহিনীরা সকালের মধ্যে রান্না সেরে ফেলছেন। দুপুরে ভিড় তুলনায় কম ব্যাংক, হাসপাতালের আউটডোরে। নবান্ন থেকেও বার বার প্রচার চালানো হচ্ছে। গরমে কোনও প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে বাড়ির বাইরে না বেরোন, বিশেষত এই ১১-৪ টের সময়সীমার মধ্যে সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক করছেন সকলেই। আগামী আরও কয়েকদিন চলবে এই তাপপ্রবাহ। বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত ক্ষীণ। আর তাই এই সময় নিজে যেমন সুস্থ থাকবেন তেমনই খেয়াল রাখুন বাড়ির বয়স্কদের। মেনে চলুন চিকিৎসকের বিশেষ পরামর্শ।
গরমে বাড়ে হিটস্ট্রোক। আর বয়স্কদের মধ্যে এই হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে সবচাইতে বেশি। কারণ তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে বয়স্কদের শরীর মানিয়ে নিতে পারে না। বয়স যত বাড়ে শরীর ততই কম সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। আর তাই তাপপ্রবাহে, অতিরিক্ত গরমে শরীর কাহিল হতে শুরু করলেও বয়স্করা তা অনুভব করতে পারেন না যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা নিজেরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও বেশিরভাগ বয়স্কই ডায়াবিটিস, হাই ব্লাড প্রেসার-সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছেন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই গরমে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
যাঁদের দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যা রয়েছে, ডায়ালিসিস চলছে, কেমো চলছে তাঁদের ক্ষেত্রে শরীর একটুতেই কমজোরি হয়ে পড়ে। আর তাই তাঁদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কিন্তু অনেক কম হয়। বয়স বাড়লে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য রক্ষাও কঠিন হয়ে পড়ে। এই বিষয়টিও কিন্তু নজরে রাখা প্রয়োজন। বস্কদের ক্ষেত্রে আরও একটি সমস্যা থাকে তা হল গরমে সর্দি-গর্মিতে বুকে সর্দি বসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেখান থেকে বুকে সংক্রমণ, নিউমোনিয়ার মত সম্ভাবনাও থেকে যায়। আর তাই বয়স্কদের এই সময়ে সুস্থ রাখতে বিশেষ কিছু টিপস দিলেন চিকিৎসক দ্বৈপায়ন মজুমদার।
১.যাঁদের রক্তচাপ বেশি, হাইপারটেনশনের সমস্যা রয়েছে তাঁদের এই সময় একটু বেশিই সাবধানে থাকতে হবে। দুপুরের রোদে একেবারেই বেরনো যাবে না। ব্যাংকের কাজ সকালের মধ্যে সারুন। নইলে অন্য কারোর সাহায্য নিন।
২.ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাবেন না। রোদ থেকে এসে তো একেবারেই নয়। খুব প্রয়োজন হলে মিশিয়ে খান। রোদ থেকে এসেই সরাসরি এসি ঘরের মধ্যে ঢুকে যাবেন না। এতে বুকে সর্দি বসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
৩.একেবারে শয্যাশায়ী রোগী ছাড়া বাকিদের ক্ষেত্রে রোজ স্নান জরুরি। যত বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন ততই কিন্তু ভাল। সকালের দিকে স্নান সারুন। এই সময় বয়স্কদের ক্ষেত্রে ত্বকের নানা সমস্যয়া আসে। আর তাই রোজ স্নান জরুরি।
৪.ডিহাইড্রেশনের সমস্যার পাশাপাশি শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়াম কমে যাচ্ছে কিনা সেই দিকেও কিন্তু নজর রাখতে হবে। এই সমস্যা হলে দ্রুত নিকটবর্তী স্বাস্থ্যেন্দ্রে নিয়ে যান।
৫.জলের বোতল যেন পরিষ্কার থাকে। বাইরের জল যেমন খাবেন না তেমনই অপরের বোতলও ব্যবহার করবেন না। নিজস্ব বোতলে জল খান আর সেই বোতলও পরিষ্কার রাখুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ থেকে শিশুদের বাঁচাতে কী-কী করণীয়, কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক