পুজো শেষ। এবার বিয়ের মরশুম শুরু। তাই পছন্দের জামায় ফিট হওয়ার জন্য এখনও কসরত চালিয়ে যেতে হবে। যদিও সুস্থ থাকতে গেলে ওজন কমানো জরুরি। তবে, কম বয়সে ওজন কমানো যতটা সহজ, তিরিশের পর রোগা হওয়া বেশ কঠিন। তাছাড়া শরীরচর্চা না করলে কিংবা খাওয়া-দাওয়া মেনে না চললে ওজন বাড়ে। পাশাপাশি একাধিক রোগ জাঁকিয়ে বসে। কিন্তু তিরিশের আগে হোক বা পরে, ছিপছিপে চেহারা বজায় রাখার জন্য আপনাকে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে।
ওজন কমাতে গেলে বিপাকহার বৃদ্ধি করা জরুরি। এতে যেমন হজম স্বাস্থ্য ভাল থাকে, তেমনই মেদ ঝরানো সহজ হয়। মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে গেলে ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখতেই হয়। পাশাপাশি বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হয়। তার সঙ্গে চলবে না মদ্যপান ও ধূমপান। এতেই আপনি ফিট থাকতে পারবেন। আর বন্ধুর বিয়েতে পছন্দের পোশাকে সাজতে পারবেন।
ওজন কমানো একদিনের কাজ নয়। দীর্ঘদিন ধরে আপনাকে ডায়েট করতে হবে। তার সঙ্গে নিয়ম করে জিমেও যেতে হবে। জিমে যাওয়ার সময় না থাকলে বাড়িতেই ঘাম ঝরানোর উপায় খুঁজে নিতে হয়। কিন্তু তার পরেও এক-দেড় কিলোর বেশি ওজন কমে না। এই অবস্থায় কাজে আসতে পারে আয়ুর্বেদিক পানীয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম জল খান অনেকেই। কেউ কেউ তাতে লেবুর রস মিশিয়ে দেন। আবার কেউ তার সঙ্গে মধুও মেশান। অনেকেই মনে করেন, এই পানীয় ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। এই পানীয়ের চেয়েও কার্যকর হতে পারে আয়ুর্বেদিক পানীয়। জিরে, ধনে, মৌরি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ওয়েট লস ড্রিংক্স।
দু’কাপ জল গরম বসান। এতে ১ চামচ করে গোটা জিরে, গোটা ধনে ও মৌরি মিশিয়ে দিন। ৫-১০ মিনিট জল ফুটিয়ে নিন। এরপর এতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করুন। আয়ুর্বেদের মতে, জিরে, ধনে ও মৌরির তৈরি পানীয় মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এই পানীয় মেটাবলিক হার বাড়িয়ে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। খালি পেটে এই পানীয় পান করুন। দিনে দু’বার এই পানীয়তে চুমুক দিলে শরীরে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে। পাশাপাশি এই পানীয় শারীরিক প্রদাহ কমাবে।