করোনার তৃতীয় তরঙ্গ প্রথম ও দ্বিতীয়ের মত মারাত্মক না হলেও এর প্রভাব কিন্তু দিনে দিনে আরও বিস্তার লাভ করছে। মৃত্যু ও গুরুতর অসুস্থতার প্রমাণ পাওয়া না গেলেও এর সংক্রমণের বৃদ্ধি দেখে কপালে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। অত্যন্ত পরিবর্তিত করোনার এই নয়া ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট কোভিড ১৯ সংক্রমণে একটি বিশাল বৃদ্ধি তৈরি করেছে। ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক সপ্তাহের মধ্যে কয়েক হাজার থেকে ১ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এই সুপার সংক্রামক স্ট্রেনটি মানুষের মধ্যে বেশিরভাগই মৃদু অসুস্থের কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংক্রমণে সংক্রামিতের দীর্ঘকালীন কোভিডের বিকাশের ঝুঁকি থাকে। ওমিক্রনের সাধারণ উপসর্গগুলি হল সর্দি, কাশি, ক্লান্তি, নাক দিয়ে জল পড়া, ইত্যাদি।
দীর্ঘকালীন কোভিড এড়াতে , আক্রান্তের পর হারিয়ে যাওয়া ইমিউনিটি ও শক্তি ফিরে পেতে কিছুদিন পরই কাজে লেগে যেতে হবে। এ ব্যাপারে আয়ুর্বদে বিশেষজ্ঞদের মত, ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর যে কোনও রোগীই সুষম খাবার, ব্যায়াম, ঘুমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। তবে বিকল্প পথ হিসেবে কোনও সাপ্লিমেন্টের দরকার পড়বে না।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে, কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করলে রোগীর পোস্ট-কোভিড লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই। আর সেগুলি কী কী, দেখে নিন একনজরে…
ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর খাবার খান
উপবাস দিয়ে দিন শুরু করুন। তাতে তারপর ধীরের ধীরে যত সময় যাবে পেটে খিদে বাড়তে থাকবে, এরপর ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ বাড়াতে থাকুন। হজমশক্তি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভাল চর্বিযুক্ত হালকা গরম রান্না করা খাবার দিয়ে শুরু করলে আপনার স্বাস্থ্য় তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে শুরু করবেন।
নিয়মিত ব্যায়াম শুরু করুন
করোনার পর এমনিতেই দুর্বল, ক্লান্তি অনুভূত হয়, তার জন্য ব্যায়ামকে এড়িয়ে যাবেন না। কোন ধরনের শারীরিক কসরত বা যোগাসন বা সাধারণ হাঁটা বা কার্যকলাপগুলি ধীরে ধীরে করতে শুরু করুন।
খাবার বেশি পরিমাণে খাবেন না
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর ভিটামিন সি ও সাইট্রাস ফল খাওয়া ভাল। কিন্তু এগুলি যেন বেশি পরিমাণে গ্রহণ না করলেই ভাল। তাতে হজমশক্তি সঠিকভাবে কাজ করতে চায় না।
মনকে শান্ত করুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরই ফের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হয়ে মন দিয়ে কাজ করার কথা বলা হয়। কিন্তু এই ভাইরাসটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও মনকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে। মনকে শান্ত ও ভাল করতে সর্বোত্তম উপায় হল ভাল ঘুম, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্য়ায়াম ও ধ্যান।