আমাদের সবার একটা প্রাত্যহিক স্বাভাবিক সমস্যা দেখা যায়। বিছানায় শুয়ে পড়েছেন সময় মতো। কিন্তু ঘুম কিছুতেই আসছে না। একবার এপাশ ফিরছেন, তো আবার ওপাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আবার উঠে একটু পায়চারিও করেন। তাতেও লাভ হয় না। শরীরে ক্লান্তি আছে, অথচ চোখে ঘুম নেই। কারণে-অকারণে অনিদ্রার এই সমস্যা অনেকেরই রয়েছে।
এমন ক্ষেত্রে অনেকেই ওষুধ খাওয়ার পথে যেতেই পারেন। তবে তাতে দু’টি সমস্যা রয়েছে। এক, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। অন্যটি হল, অনেক সময় ঘুমের ওষুধের কিছু মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ্য করতে হয়। তবে ঘুম না হওয়ার এই সমস্যা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো একবার দেখে নেওয়া যাক।
উষ্ণ গরম জলে স্নান:
ঘুম না আসার অনেক কারণের মধ্যে একটি কারণ সারাদিনের পরিশ্রমের ক্লান্তি হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে উষ্ণ গরম জলে স্নান করলে শরীর আরাম পায়। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে উষ্ণ গরম জলে স্নান করা উচিত। এতে ঘুমিয়ে পড়ার আগে শরীর ঠান্ডা হওয়ার সময় পায়।
ম্যাসাজ:
ম্যাসাজ শরীরের পাশাপাশি মনকেও শান্ত করে। ব্যথা-বেদনা, দুশ্চিন্তা দূর করার ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এটা। এর জন্য সবসময় বাইরে থেকে অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন নেই। বাড়িতে যে কাউকে পিঠের ওপর চাপ দিতে বললেই দেখবেন আপনি অনেকটা মানসিক চাপমুক্ত হয়ে উঠেছেন।
ল্যাভেন্ডার অয়েল:
সুগন্ধ যুক্ত ল্যাভেন্ডার অয়েল মন ভাল করে দেয়। হাতে একটুখানি নিয়ে তারপর ভাল করে হাতে ঘষে নিয়ে গন্ধ নিতে হবে। চাইলে আপনার পছন্দের সুগন্ধীও ব্যবহার করতে পারেন। গন্ধের কারণে যে আরাম বোধ হয়, তাতেও বেশ কিছুটা ঘুম আসে।
গরম দুধে মধু:
এই উপায় অনেক আগে থেকে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এক গ্লাস গরম দুধে মধু দিলে রাতের ঘুম ভাল হয়। দুধের মধ্যে ট্রিপটোফ্যান থাকে যা শরীরের নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের ক্ষমতা বাড়িয়ে ঘুম আসতে সাহায্য করে।
ভেষজ চা:
ভেষজ চা খাওয়া শরীরের পক্ষে এমনিতেও উপকারী। এটি দেহের সমস্ত টক্সিক বের করে দেয়। এতে শরীর শান্ত হয়। ঘুম তাড়াতাড়ি আসে।
আরও পড়ুন: Weight Loss Tips: ওজন কমাতে চাইছেন? এই তিনটে উপায় মেনে চলুন, তাহলেই অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারবেন…