Dry Cough: শুকনো কাশির সমস্যায় অস্থির? বেছে নিন একটি ঘরোয়া প্রতিকার

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Nov 30, 2021 | 3:21 PM

দূষণ, ধুলাবালি, যক্ষ্মা, হাঁপানি, ফুসফুসের সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে শুকনো কাশি হতে পারে। যেহেতু এখন শীতকাল, তাই দূষণও বেশি সেখান থেকেও এই শুকনো কাশির সমস্যা দেখা দেয়।

Dry Cough: শুকনো কাশির সমস্যায় অস্থির? বেছে নিন একটি ঘরোয়া প্রতিকার
শুকনো কাশির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বেছে নিন ঘরোয়া প্রতিকার

Follow Us

সাধারণত দুই ধরনের কাশি হয়, একটি শ্লেষ্মাযুক্ত এবং অন্যটি শুকনো কাশি। শ্লেষ্মা সহ কাশি বেশিরভাগই ঋতু পরিবর্তনের  প্রভাবের কারণে হয়। অন্যদিকে দূষণ, ধুলাবালি, যক্ষ্মা, হাঁপানি, ফুসফুসের সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে শুকনো কাশি হতে পারে। যেহেতু এখন শীতকাল, তাই দূষণও বেশি সেখান থেকেও এই শুকনো কাশির সমস্যা দেখা দেয়। কখনও কখনও এই শুকনো কাশি সহজে যায় না এবং খুব বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।

এতে শ্লেষ্মা নেই, তবে গলায় ব্যথা থেকে শুরু করে জ্বালাভাব হতে পারে। অনেক সময় কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির পাঁজরও ব্যাথা হতে থাকে। এ কারণে ওই ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছ নিয়ে যাওয়া উচিত এবং চিকিৎসা করানো দরকার। তবে এমন পরিস্থিতি আসার আগেই প্রতিকার গ্রহণ করা উচিত। আপনার যদি এমন কোনও সমস্যা থাকে তবে আপনি কিছু ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করতে পারেন। এগুলো আপনাকে এই শুকনো কাশির হাত থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করতে পারে।

মধু: মধু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ঔষধি গুণে ভরপুর। কাশির সময় এর সেবন খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। আপনি চাইলে জলে আদা সেদ্ধ করে তাতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন অথবা গ্রিন টি-তে মধু যোগ করে পান করতে পারেন। এতে আপনার কাশির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ঘি: দেশি ঘিয়ের সঙ্গে গুড় ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে একবারে খেয়ে নিন। এটি শুকনো কাশির সমস্যায় আরাম দেয়। কিন্তু প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর এই প্রতিকারটি গ্রহণ করতে হবে। তবেই আরাম পাবেন শুকনো কাশির সমস্যা থেকে।

নুন জলে গার্গেল: জলে নুন দিয়ে হালকা গরম করে নিন। এই জল দিয়ে গার্গল করলে গলার সংক্রমণ সেরে যায়। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য গলাকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। এটি নালীগুলিতে প্রদাহ এবং সংক্রমণও দূর করে। তবে এই ক্ষেত্রে সবসময় শুধুমাত্র শিলা লবণ ব্যবহার করুন।

মুলেঠির পাউডার: দুই টেবিল চামচ মুলেঠি পাউডার ২-৩ গ্লাস জলে ফুটিয়ে নিন। এবার এই জল দিয়ে প্রায় ১০-১৫ মিনিটের জন্য ভেপার বা বাষ্প নিন। এটি কাশিতেও দারুণ উপশম দেয়। মুলেঠি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ কমাতেও কাজ করে।

গিলয় ও তুলসীর মিশ্রণ: গিলয় এবং তুলসীর মিশ্রণ কাশির সমস্যা দূর করতে খুবই সহায়ক বলে মনে করা হয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী কাশিও দূর করে। এছাড়া বেদানার খোসা ছায়ায় রেখে শুকিয়ে নিন। এক টুকরো মুখে নিয়ে চুষতে থাকুন। এটি শুকনো কাশির জন্যও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়।

আরও পড়ুন: হিমালয়ের পাহাড়ে চাষ হয় এই রসুন! সাধারণ রসুনের চেয়ে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা কতটা বেশি জানেন?

Next Article