Donald Trump: ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সিতে আক্রান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প! রোগটি কী, কেন হয়?

Chronic Venous Insufficiency: হোয়াইট হাউসে নিযুক্ত চিকিৎসক শন বারবেলা জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পায়ের গোড়ালিতে সামান্য ফোলাভাব দেখা দেওয়ার পর তাঁর পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, তিনি ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি (CVI) নামক রোগে আক্রান্ত।

Donald Trump: ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সিতে আক্রান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প! রোগটি কী, কেন হয়?
Image Credit source: PTI

Jul 18, 2025 | 8:59 PM

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁর হাত ও পায়ে স্পষ্ট ফোলাভাব (oedema)। এ নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প Chronic Venous Insufficiency (ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি) নামক একটি শিরার সমস্যায় ভুগছেন। হালকা হাত ও গোড়ালির ফোলাভাব দেখা দেওয়ার পর তাঁকে পরীক্ষা করা হলে এই রোগ ধরা পড়ে।

হোয়াইট হাউসে নিযুক্ত চিকিৎসক শন বারবেলা জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পায়ের গোড়ালিতে সামান্য ফোলাভাব দেখা দেওয়ার পর তাঁর পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, তিনি ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি (CVI) নামক রোগে আক্রান্ত। তবে এটি কোনো গুরুতর অসুখ নয়, যেমন Deep Vein Thrombosis বা arterial disease। এই রোগ সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে থাকে।

এই রোগ সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয়। ৭০ বছর পেরোলে Chronic Venous Insufficiency হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। এই বয়সে শিরার মধ্য দিয়ে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা হয়েছে বলেই অনুমান। বয়সজনিত কারণে অ্যাসপিরিন সেবন বা অনান্য নানা কারণেই এই রোগে আক্রান্ত ট্রাম্প।

Chronic Venous Insufficiency কী?

চিকিৎসকদের মতে Chronic Venous Insufficiency (CVI) হল এমন এক অবস্থা যখন পায়ের শিরাগুলো ঠিকমতো রক্তকে হার্টে ফেরত পাঠাতে পারে না। ফলে ধীরে ধীরে রক্ত নিচের দিকে জমতে শুরু করে।

প্রাথমিক লক্ষণ –

গোড়ালির ফোলা, পায়ে ভার ভার ভাব, পিন্ডিল বা গোড়ালিতে জ্বালা বা অস্বস্তি, চুলকানি ইত্যাদি।

রোগ বাড়তে থাকলে ছোট ছোট শিরা চোখে পড়তে শুরু করে এবং গোড়ালির চারপাশের চামড়া কালচে হয়ে যায়। এই লক্ষণগুলিকে উপেক্ষা করলে চিকিৎসা বিলম্বিত হয় এবং পায়ে আলসার বা ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (DVT) এর ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা, অতিরিক্ত ওজন এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা CVI-র কারণ হতে পারে। এসবের ফলে পায়ের পেশি দুর্বল হয় এবং শিরার উপর চাপ পড়ে, যা রক্তকে পেছন দিকে ফেরত পাঠিয়ে দেয় এবং পায়ে জমে যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি –

বর্তমানে ডুপ্লেক্স আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে দ্রুত ও ব্যথাহীনভাবে এই রোগ নির্ণয় করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে কমপ্রেশন স্টকিংস এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো ওষুধ কার্যকর। উন্নত পর্যায়ে ফোম স্ক্লেরোথেরাপি, লেজার থেরাপি বা রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবলেশন নামক মৃদু ইনভেসিভ পদ্ধতিগুলি ভাল ফল দেয়।

প্রথম পর্যায়েই ব্যবস্থা নিলে জটিলতা ও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন কমে, জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। তাই CVI-কে যথাসময়ে ধরতে পারলে এটি সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।