
বর্ষায় যেমন যে কোনও সংক্রমণ জনিত রোজ সমস্যা বাড়ে তেমনই বাড়ে চর্মরোগও। অ্যালার্জি, র্যাশ, ফুসকুড়ি এসব লেগেই থাকে। মূলত ছত্রাকের সংক্রমণ এবং হাইজিন না মেনে চলাই এর অন্যতম কারণ। যে কারণে বর্ষায় বাড়ে সোরিয়াসিসের সংক্রমণ। ত্বকে লাল দাগ, ফোলা ভাব, ত্বক রিক্ষ্ম হয়ে যাওয়া এসবই হল সোরিয়াসিসের লক্ষণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে তখনই এই সব সংক্রমণ জনিত সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। ত্বক পুরু হয়ে যাওয়া, সাদা-লাল দাগ, ত্বক ফুলে যাওয়ার মত উপসর্গ লেগেই থাকে। তবে একজিমা এবং সোরিয়াসিস দুটি ভিন্ন চর্মরোগ। কিন্তু মূল কারণ একটাই। তা হল অন্ত্রের নানা সমস্যা।
এই দুই সংক্রমণেই ফুসকুড়ি বা লাল দাগে ব্যথা থাকে সঙ্গে থাকে তীব্র চুলকানি। একজিমা এবং সোরিয়াসিস সংক্রামকও। আর তাই এই সমস্যা হলে ফেলে না রেখে আগেই চিকিৎসকের কাছে যান। আজকাল একজিমার অনেক উন্নত ওষুধ বেরিয়ে গিয়েছে। আর তাই যদি প্রথমেই ওষুধ খেতে না চান তাহলে খেতে পারেন এই কালো বীজ। ভেষজ এই বীজ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক কপিল ত্যাগী তাই দিচ্ছেন বিশেষ পরামর্শ। দেখে নিন কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই বীজ।
এই কালো বীজ হল আসলে সবজা বীজ। আয়ুর্বেদে এই বীজের খুবই গুরুত্ব রয়েছে। সেই সঙ্গে শরীরের জন্যও ভীষণ ভাবে উপকারী। সবজা বীজ রোজ জলে ভিজিয়ে সরবতের মত বানিয়ে খেতে পারেন। এতে পেট ঠাণ্ডা থাকে। সেই সঙ্গে ভিতর থেকে পরিষ্কারও থাকে। এছাড়াও সবজা বীজ বড় ২ চামচ দিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। এবার তা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে গরম করে লাল দাগ-ছোপ, ফুসকুড়ি বা ফোসকার উপর লাগান। তবে তেল খুব বেশি গরম করবেন না। সোরিয়াসিস বা একজিমা হলে ওই অংশে রোজ নিয়ম করে এই তেল ২ বার লাগাতে পারলে উপকার পাবেন। তেল লাগিয়ে অন্তত ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দেবেন। এছাড়াও আরও যা কিছু করতে পারেন-
আলুর রস- একজিমার সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে আলুর রসও। সোরিয়াসিস হলে আলু থেঁতো করে ওর থেকে রস বের করে নিন। এবার তা একজিমার উপর লাগিয়ে নিন। এতে ত্বকের উপকার হবে। জ্বালা-পোড়া ভাবও কমবে। লাগিয়ে ৩০ মিনিট মত রাখবেন। এরপর জল দিয়ে জায়গাটা ভাল করে পরিষ্কার করে নেবেন।
কী ভাবে এই বীজ চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে
সবজা বীজ বা তুলসির বীজ একজিমা আর সোরিয়াসিস সারাতে ভীষণ উপকারী। শরীরের যে অংশে একজিমা হয় ওই অংশের তাপমাত্রা বেশি থাকে। তুলসির বীজ সেই তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তুলসির বীজ কোলাজেন নিঃসরণে সাহায্য করে। ফলে নতুন কোষ তৈরি হয়। প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন, ভিটামিন কে সমৃদ্ধ হওয়ায় এই সবজা বীজ আমাদের চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।