যত দিন যাচ্ছে কম বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও বেশি। যদিও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে নানা কারণ দায়ী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো অসুখগুলোকে দায়ী করে। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চার প্রতি অনীহা—এমন নানা কারণে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে। তবে, এসব বিষয়গুলো ছাড়াও দেহে পুষ্টির অভাবেও আপনি হার্টের সমস্যার শিকার হতে পারে। ৬ ধরনের ভিটামিন রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এগুলো প্রদাহ কমায়, রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তনালিতে ক্ষতিকারক পদার্থ জমা হতে দেয় না।
ভিটামিন ডি: হাড়ের পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কার্ডিওভাস্কুলার ফাংশন উন্নত করে। দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন সকালে ১৫-৩০ মিনিট সূর্যালোকে দাঁড়ান। এছাড়া খাবার পাতে দুধ, ডিম, মাশরুম ইত্যাদি খাবার রাখুন।
ভিটামিন বি৬: দেহে ভিটামিন বি৬-এর অভাব থাকলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই পুষ্টি হোমোসিস্টাইন নামের এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের লেভেল কমায় যা হৃদরোগের জন্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। গমের তৈরি খাবার, সোয়া পণ্য, মাছ, চিনেবাদাম, ওটস, কলা, দুধে ভিটামিন বি৬ মিলবে।
ভিটামিন বি১২: ভিটামিন বি৬-এর মতো ভিটামিন বি১২ও রক্তে হোমোসিস্টাইনের মাত্রা কমায়। এছাড়া দেহে ভিটামিন বি১২-এর অভাব থাকলে দেহে হাইপারহোমোসিস্টিনেমিয়া নামের একটি অবস্থা তৈরি হয়, যা হৃদরোগের সঙ্গে যুক্ত। মাছ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, সিরিয়াল ও মাংসে ভিটামিন বি১২ পাবেন।
ভিটামিন সি: ভিটামিন সি সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে, যার মধ্যে কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যও রয়েছে। ভিটামিন সি ধমনীর দেওয়ালকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন কমায়। লেবুজাতীয় ফল, কিউই, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি, পেয়ারার মতো খাবারে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
ভিটামিন ই: এই পুষ্টি হল এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার রোজ খেলে হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। আমন্ড, আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ, অ্যাভোকাডো, পিনাট বাটার, মাছ ইত্যাদি খাবারে এই পুষ্টি পাওয়া যায়।
ভিটামিন কে: রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন কে। করোনারি আর্টারি ডিজিজের ঝুঁকি কমাতে চাইলে দেহে ভিটামিন কে-এর ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। ভিটামিন কে-এর চাহিদা মেটাতে শাকসবজি বেশি করে।