ডাঁটা বা মরিঙ্গা ওলিফেরাকে অনেকে অলৌকিক উদ্ভিদ হিসেবেও সম্বোধন করে থাকেন। সাধারণভাবে ডাঁটা নামে পরিচিত মরিঙ্গার মধ্যে প্রচুর পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। বহুদিন থেকে এই খাবার তার পুষ্টিকর স্বাস্থ্য উপকারের জন্য প্রশংসিত হয়েছে। এটি ভারতীয় খাবারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মরিঙ্গা ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের উপ-হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্যকর কাজ করার পাশপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
খনিজ এবং ভিটামিন উপাদানগুলির জন্য পরিচিত মরিঙ্গাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। কিন্তু মরিঙ্গা পাতায় প্রচুর পরিমাণে ফাইটেট থাকে, এগুলি এক প্রকার অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টস। এরা শরীর যে খনিজগুলি গ্রহণ করে তাতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
Healthline.com এর মতে, ২১ গ্রাম বা এক কাপ মরিঙ্গা পাতায় রয়েছে:
ওজন কমানো:
অনেক গবেষণার মতে, মরিঙ্গা শরীরের চর্বি তৈরি হওয়ার পরিমাণ কমাতে পারে। এটি চর্বি ভাঙ্গার প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে থাকে। ডাঁটাতে প্রচুর পরিমাণে প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অন্যান্য উপকারী বৈশিষ্ট্যগুলির পাশপাশি ওজন কমাতেও বেশ কিছুটা সাহায্য করে।
ত্বক ও চুল:
ডাঁটা ত্বক ও চুলের জন্যও ভালো। এরা শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এদের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসাবে ব্যবহার করা যায় যা স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চুলের জন্য দায়ী থাকে।
হাড়ের গঠন:
মরিঙ্গা বা ডাঁটা শক্তিশালী হাড় গঠনেও সাহায্য করে। এগুলি ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসে ঠাসা থাকে। আর্থ্রাইটিস এবং জয়েন্টের ব্যথায় ভোগা মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
রক্তচাপ:
ডাঁটা রক্তচাপের উপরও নজর রাখে। আইসোথিওসায়ানেট এবং নিয়াজিমিনিনের মতো যৌগগুলি ধমনীর মোটা হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
মস্তিস্কের স্বাস্থ্য:
মরিঙ্গা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্মৃতিশক্তির মান বাড়াতে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দিতে মরিঙ্গা বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। চিন্তাশক্তির বিকাশ এবং মেজাজ ঠিক রাখার ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা পালন করে এরা।
মরিঙ্গা কীভাবে ব্যবহার করবেন?
আপনি চায়ের সঙ্গে মরিঙ্গার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া ক্যাপসুল আকারেও মরিঙ্গা খেতে পারেন। একটি কাপের মধ্যে মরিঙ্গা নিন এবং তাতে এক থেকে দু’কাপ জল ফুটিয়ে নিন। আপনি মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে ঐ জলটা খেতে পারেন। তবে, এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য এই টিপসগুলি আপনাকে বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে!