
পিরিয়ডসের সময় মহিলাদের অত্যন্ত প্রাকৃতিক ও নিয়মিত প্রক্রিয়া। এই সময় জরায়ুর অন্দরের আবরণ ভেঙে রক্তস্রাব হয়। কিন্তু পিরিয়ডসের সময় স্রাবের রং কেমন হলে স্বাভাবিক? আর কেমন হলে সতর্ক হতে হবে?
উজ্জ্বল লাল রং – পিরিয়ডস শুরুর প্রথম দিনগুলোতে রক্তস্রাব সাধারণত উজ্জ্বল লাল হয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং বুঝায় রক্ত শরীর থেকে দ্রুত বের হচ্ছে।
গাঢ় লাল বা বাদামি রং – মাসিকের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে স্রাব অনেক সময় গাঢ় লাল বা বাদামি হয়ে যায়। এটি পুরনো রক্ত, যা শরীরের ভেতরে কিছুটা সময় থেকে পরে বের হয়। এটিও স্বাভাবিক এবং চিন্তার কিছু নেই।
হালকা গোলাপি রং – কখনও কখনও হালকা ফ্লো-এর সময় রক্ত গোলাপি দেখা যায়। এটি সাধারণত স্বাভাবিক, বিশেষ করে যাদের ফ্লো কম বা যাদের স্রাব রক্তের সঙ্গে সার্ভিক্যাল মিউকাস মিশে যায়।
কখন সতর্ক হওয়া প্রয়োজন?
কমলা রং – স্রাব যদি কমলা বা অস্বাভাবিক উজ্জ্বল কমলা হয় এবং দুর্গন্ধ থাকে, তবে এটি সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
অত্যন্ত ফিকে রং – স্রাব যদি বারবার অস্বাভাবিকভাবে ফিকে হয়, তবে এটি হরমোনের অসামঞ্জস্য বা রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির ইঙ্গিত হতে পারে।
ধূসর রং – স্রাবে ধূসর বা ম্লান সাদা রং দেখা গেলে তা সাধারণত ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস নামক সংক্রমণের লক্ষণ। সঙ্গে দুর্গন্ধ, জ্বালা বা চুলকানি থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অত্যন্ত গাঢ় কালচে রং – যদিও মাসিকের শেষদিকে কালচে বাদামি রক্ত স্বাভাবিক, তবে যদি বারবার কালচে কালো রঙের স্রাব হয় এবং সঙ্গে তীব্র ব্যথা বা অস্বাভাবিক ক্লট থাকে, তবে এটি জরায়ুর ভিতরে রক্ত জমে থাকা বা অন্য সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
কী করবেন?
স্রাবের রঙের সঙ্গে দুর্গন্ধ, জ্বালা বা অস্বস্তি থাকলে। রক্তস্রাব অতিরিক্ত বেশি হলে বা খুবই দীর্ঘস্থায়ী হলে। অনিয়মিতভাবে রঙ বারবার পরিবর্তিত হলে। হঠাৎ করে খুব কালো, কমলা বা ধূসর রঙের স্রাব দেখা দিলে আর দেরী করা উচিত নয়। তার চেয়ে বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।