Health Tips: রোগা হওয়া ভুলে যান, জলখাবার না খেলে কী কী হয় একবার দেখুন

Health Tips: অনেকেই সময়ের অভাবে বা ওজন কমানোর আশায় প্রতিদিন জলখাবার বাদ দেন। কিন্তু নিয়মিত ব্রেকফাস্ট না খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা ধীরে ধীরে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

Health Tips: রোগা হওয়া ভুলে যান, জলখাবার না খেলে কী কী হয় একবার দেখুন

| Edited By: সায়ম কৃষ্ণ দেব

Jun 30, 2025 | 3:26 PM

জলখাবার বা ব্রেকফাস্ট হল দিনের প্রথম খাবার, যা দীর্ঘ রাতের উপবাস ভেঙে শরীরে নতুন এনার্জি সরবরাহ করে। অনেকেই সময়ের অভাবে বা ওজন কমানোর আশায় প্রতিদিন জলখাবার বাদ দেন। কিন্তু নিয়মিত ব্রেকফাস্ট না খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা ধীরে ধীরে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

১. শক্তির অভাব ও ক্লান্তি:
রাতভর খালি পেটে থাকার পর সকালে শরীরের শক্তি দরকার হয়। ব্রেকফাস্ট না খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়, যার ফলে মাথা ঝিমঝিম, দুর্বলতা, ও ক্লান্তি দেখা দেয়। এতে দিনের কাজে মনোযোগ কমে যায়।

২. বিপাক হারের (Metabolism) গতি কমে যায়:
জলখাবার আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া শুরু করে। যদি সকালে কিছু না খাওয়া হয়, শরীর মনে করে সে ‘ক্ষুধার্ত’ অবস্থায় আছে, ফলে বিপাক হার ধীর হয়ে যায় এবং শরীর চর্বি জমিয়ে রাখে। এতে ওজন কমার বদলে বাড়তেও পারে।

৩. মানসিক অস্থিরতা ও মনোযোগের ঘাটতি:
সকালে কিছু না খেলে মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এতে একদিকে যেমন মনোযোগ কমে যায়, তেমনই দেখা দেয় মেজাজ খারাপ, রাগ, উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদ।

৪. হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি:
খালি পেটে বেশি সময় থাকলে পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি হতে থাকে, যা গ্যাস, অম্বল ও বুক জ্বালার কারণ হয়। দীর্ঘদিন ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

৫. ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে:
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত জলখাবার বাদ দেন, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকলে শরীর ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারায়। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

৬. অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা:
সকালে না খেলে অনেক সময় দুপুরে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এতে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঢোকে, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

প্রতিদিন জলখাবার বাদ দিলে তা শরীর ও মনের ওপর একাধিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্যকর, হালকা ও পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট প্রতিদিন করা উচিত—যেমন ওটস, ডিম, ফল, বাদাম বা দুধ। ভালোভাবে দিন শুরু করতে চাইলে জলখাবার কখনওই এড়িয়ে যাবেন না।