
চটজলদি তেষ্টা মেটাতে অধিকাংশ মানুষেরই পছন্দ থাকে কোল্ড ড্রিংক। কোল্ড ড্রিংক বা সোডা ওয়াটার স্বাদে খুবই ভাল, শরীরকে সতেজতা আর তৃপ্তি দেয় ঠিকই কিন্তু শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয় এই কোল্ডড্রিংক। অনেকে আছেন খাবার হজম করতে বিরিয়ানি বা মাটন খেয়ে পোলাও খান। এতে হজম হবার পরিবর্তে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। গরমের দিকে লোকেরা প্রচুর পরিমাণ কোল্ডড্রিংক তো খানই তবে সারাবছরই চলতে থাকে এই কোল্ডড্রিংক খাওয়ার হিড়িক। কোল্ডড্রিংক খেলে ওজন বাড়ে, ডায়াবেটিসের সমস্যা হয় এসব তো ঠিকই। তবে কোল্ডড্রিংক খেলে ১ ঘণ্টার জন্য শরীরে একাধিক পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
এমনকী প্রভাব পড়ে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে। সম্প্রচি প্রকাশিত এক জার্নালে আমেরিকান ডাক্তার জোসেফ মেরকোলা জানিয়েছেন,কার্বনেটেড পানীয় পান করার প্রতি ১০ মিনিট পর শরীরের ক্ষতি বাড়ে। এতে প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক থাকে তেমনই থাকে চিনিও। ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা বাঁধাধরা। একগ্লাস কোল্ডড্রিংক খাওয়ার প্রথম ১০ মিনিটে শরীরে ইনসুলিন বেড়ে যায় হঠাৎ করে। সেই সঙ্গে ফসফরিক অ্যাসিড থাকায় অস্বস্তি অনেক বেশি হয়। ইনসুলিন বাড়তে থাকলে একটা সময় লিভারে তা জমা হতে থাকে। যেখান থেকে ফ্যাটি অ্যাসিডের সম্ভাবনা বাড়ে।
কোল্ডড্রিংক খাওয়ার ঠিক ৪০ মিনিট পর শরীরের তাপ অনেকটাই বেড়ে যায়। তখন রক্তচাপ বাড়ে, লিভার থেকে বেশি পরিমাণ গ্লুকোজ তৈরি শুরু হয় আর চোখের উপরেও চাপ পড়ে। ধীরে ধীরে মস্তিষ্কে ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে থাকে। এবং মনকে অনেক বেশি তা আনন্দ দেয়।
৬০ মিনিট পর থেকে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমতে থাকে। তখন অনেক বেশি ক্লান্ত বোধ হয়। একই সঙ্গে অবসাদও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।