
Health Tips: ঠিকঠাক ঘুম হচ্ছে না? জানেন শরীরে কী কী বিপদ নেমে আসছে?Image Credit source: Canva
শরীর সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দৈনিক গড়ে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা, মানসিক চাপ, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনেকের ঘুমে বাধা তৈরি করছে। দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা গুরুতর সমস্যা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী।
ঘুমের ঘাটতির ফলে যে সকল সমস্যা হতে পারে সেগুলি হল —
- শক্তি ও মনোযোগের ঘাটতি – পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্লান্ত লাগে, মনোযোগ কমে যায় ও কাজের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া – ঘুমের সময় শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। ঘুমের অভাব শরীরকে সহজেই ভাইরাস ও সংক্রমণের দিকে ঠেলে দেয়।
- হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে – গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ঘুমের ঘাটতি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ওজন বৃদ্ধি – ঘুমের ঘাটতি খিদে নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
- ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা – কম ঘুম ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা তৈরি করে।
- মানসিক সমস্যা – ঘুমের ঘাটতি উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজ, হতাশা ও মানসিক অস্থিরতার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ত্বকের ক্ষতি – পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ত্বক শুষ্ক হয়, ডার্ক সার্কেল পড়ে ও বয়সের ছাপ তাড়াতাড়ি দেখা দেয়।
- স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া – ঘুমের সময় মস্তিষ্ক স্মৃতি সংরক্ষণ করে। ঘুমের অভাব শেখার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি কমে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ —
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে হবে। এবং নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠতে হবে।
- ঘুমানোর আগে মোবাইল, টিভি ও ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে হবে। সম্ভব হলে ঘুমানোর আগে ৩০ মিনিট এই সকল যন্ত্রে হাত দেবেন না।
- ঘুমানোর আগে ভারী খাবার ও ক্যাফেইন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- আরামদায়ক ও অন্ধকার পরিবেশে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।