
Teeth Problem: যখন তখন দাঁত শিরশির করে? এই ঘরোয়া উপায়ে পান সমস্যা থেকে মুক্তি
ঠান্ডা বা গরম কিছু খাবার খেলে কি দাঁত শিরশির করে? এই সকল সমস্যা আজকাল খুবই সাধারণ। শুধু গরম ও ঠান্ডাই নয়, টক বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার সময় দাঁতে হঠাৎ ঝাঁকুনি বা ব্যথা অনেকেরই অনুভূত হয়। দন্ত চিকিৎসকদের মতে, দাঁতের এনামেল ক্ষয়, মাড়ি সরে যাওয়া, ক্যাভিটি বা দাঁতের রুট এক্সপোজড হওয়াই এর প্রধান কারণ। যদি দাঁত শিরশির শুরু হয়, তা হলে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে উপশম পাওয়া সম্ভব।
ঘরোয়া উপায়ে কী কী করলে দাঁত শিরশির করা কমবে?
- লবণ জল দিয়ে কুলকুচি – হালকা গরম জলে এক চামচ লবণ মিশিয়ে দিনে ২–৩ বার কুলকুচি করলে ব্যাকটেরিয়া কমে যায় ও ব্যথা উপশম হয়।
- লবঙ্গ তেল – তুলোতে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল নিয়ে ব্যথার জায়গায় লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম মেলে। কারণ এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্যথানাশক উপাদান।
- নারকেল তেলের ব্যবহার – সকালে খালি পেটে ২-৫ মিনিট অল্প নারকেল তেল মুখে নিয়ে কুলকুচি করে ফেলে দিলে মাড়ি মজবুত হয় ও সংবেদনশীলতা কমে।
- হলুদ-লবঙ্গ মিশ্রণ – হলুদ, লবঙ্গ গুঁড়ো ও নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁতে লাগালে ব্যথা ও প্রদাহ কমে।
- গ্রিন টি দিয়ে কুলকুচি – ঠান্ডা গ্রিন টি দিয়ে দিনে একবার কুলকুচি করলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাঁত ও মাড়িকে সুস্থ রাখে।
- নরম ব্রাশ ব্যবহার – শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করা চলবে না। সফট ব্রিসল ব্রাশ দিয়ে হালকা হাতে দাঁত মাজতে হবে। তাতে এনামেল ক্ষয় কমে।
- খাবার খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ – লেবু, আচার, বরফ ঠান্ডা পানীয় ও অতিরিক্ত টক খাবার কিছুদিন এড়িয়ে যাওয়া ভাল।
- বেকিং সোডা দিয়ে মাউথওয়াশ – গরম জলে আধা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে মুখের অ্যাসিড কমে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য – দাঁতের শিরশিরানির সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা ব্যথা বেড়ে যায়, তা হলে দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, ঘরোয়া উপায় কাজে লাগালে কেবল সাময়িক আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু মূল সমস্যার চিকিৎসা করা না হলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।