Health Benefits of Dates: শীতের রাতে ঘুমনোর আগে দুধে এটা মিশিয়ে খান, শরীর লাগবে ঝরঝরে ও মিলবে উষ্ণ আভা

শীত নামতেই সন্ধের পর থেকেই শরীর যেন একটু বাড়তি উষ্ণতার খোঁজে থাকে। এই সময় রাতের খাবারের পর ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিন্তু দুধে একটা জিনিস মিশিয়ে খেলে শরীরে আরও দ্বিগুণ উপকার হয়।

Health Benefits of Dates: শীতের রাতে ঘুমনোর আগে দুধে এটা মিশিয়ে খান, শরীর লাগবে ঝরঝরে ও মিলবে উষ্ণ আভা
শীতে ঘুমনোর আগে দুধে এটা মিশিয়ে খান, শরীর লাগবে ঝরঝরে ও মিলবে উষ্ণ আভাImage Credit source: Plume Creative/Photodisc/Getty Images

Nov 18, 2025 | 5:26 PM

শীত নামতেই সন্ধের পর থেকেই শরীর যেন একটু বাড়তি উষ্ণতার খোঁজে থাকে। এই সময় রাতের খাবারের পর ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ (Milk) খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিন্তু দুধে খেজুর মিশিয়ে খেলে যে শরীরে আরও দ্বিগুণ উপকার হয়, তা অনেকেই জানেন না। প্রাচীন আয়ুর্বেদ থেকে আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞান সব জায়গাতেই ‘দুধ-খেজুর’ কম্বোকে শীতের অন্যতম পাওয়ার-প্যাকড হেলথ ড্রিঙ্ক বলা হয়। কেন? চলুন দেখে নেওয়া যাক।

শীতে কেন দুধ ও খেজুর একসঙ্গে ভাল?

দুধে থাকে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন ও ট্রিপটোফ্যান। যা ঘুমের মান বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে খেজুর হল প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার। যেখানে আছে আয়রন, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন B এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। দু’টিকে একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীর দ্রুত উষ্ণতা পায়, হজমও হয় সহজে। ফলে শীতের রাতে ঘুমও হয় আরামদায়ক ও গভীর।

দুধ ও খেজুর একসঙ্গে খেলে কী কী উপকার?

১. শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখে

খেজুরের প্রাকৃতিক উষ্ণতা এবং দুধের শর্করা এই দুইয়ের মিল শরীরের মেটাবলিজমকে সক্রিয় রাখে। ফলে শীতকালের ঠান্ডা লাগা বা শরীর কাঁপুনি কম হয়।

২. হজমশক্তি বাড়ায়

খেজুর ফাইবারে সমৃদ্ধ, আর গরম দুধ হজম দ্রুত করে। রাতে এই কম্বো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা অ্যাসিডিটির সমস্যা কমতে পারে।

৩. ভাল ঘুম হয়

দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে, যা ঘুমকে গভীর ও স্থির করে। খেজুর যোগ করলে শরীরে ধীরে এনার্জি রিলিজ হয়, ফলে রাতভর শরীর ক্লান্ত লাগে না।

৪. রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য

খেজুর আয়রনের দারুণ উৎস। দুধের ক্যালশিয়াম ও খেজুরের আয়রন মিলে শরীরে রক্ত হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।

৫. হাড় ও মাংসপেশি মজবুত করে

দুধের ক্যালশিয়াম প্রোটিন মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে, আর খেজুরের ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের শক্তি বাড়ায়। শীতে জয়েন্ট পেইন কমায়।

৬. ত্বক ও চুলে উজ্জ্বলতা আনে

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মৃদ্ধ খেজুর ও দুধের কোলাজেন–সাপোর্টিং গুণ ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। শীতের শুষ্কতায় যে প্রাণহীন ভাব আসে, তা কমে যায়।

৭. ঠান্ডা কাশির বিরুদ্ধে টনিক

দুধ-খেজুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শীতের সাধারণ ঠান্ডা কাশির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

কী ভাবে খাবেন?

১ গ্লাস গরম দুধে ২–৩টি খেজুর (বীজ ফেলে কুচি করা বা সোজা দুধে ডুবিয়ে) মেশান। চাইলে একটু হলুদ বা এলাচ দিতে পারেন। রাতের খাবারের ১ ঘণ্টা পর এবং ঘুমনোর ২০–৩০ মিনিট আগে খান

কাদের সাবধানে খাওয়া উচিত?

ডায়াবেটিকদের খেজুরের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া ভাল। যাঁদের দুধ হজম হয় না বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তাঁদের এড়িয়ে চলা উচিত। পেট খুব ভারী লাগে এমন হলে মাত্রা কমান।

শীতের রাতে দুধ–খেজুর শুধু একটি পানীয় নয়, বরং শরীরের জন্য এক ‘নাইট রিচুয়াল’। এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান একসঙ্গে শরীরকে দেয় উষ্ণতা, পুষ্টি, আরামদায়ক ঘুম এবং ইমিউনিটি সব একসঙ্গে। লাইফস্টাইল বদলে দিতে চাইলে রাতের রুটিনে এই সহজ খাবারটি যোগ করলে উপকার দেখতে দেরি হবে না।