Heat Stroke: হঠাৎ করে কারও হিটস্ট্রোক হলে কী করবেন? কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?

Heat Stroke: শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে যায় শরীর সেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সাধারণত দীর্ঘসময় গরম ও আর্দ্র পরিবেশে থাকলে বা কঠোর পরিশ্রম করলে এই সমস্যা হয়ে থাকে।

Heat Stroke: হঠাৎ করে কারও হিটস্ট্রোক হলে কী করবেন? কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?

May 17, 2025 | 4:21 PM

গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত দাবদাহের কারণে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে গেলে হিটস্ট্রোক (Heat Stroke) হতেই পারে। যার ফলে প্রাণ হারাতে হতে পারে। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতনতা ও সাবধানতা অত্যন্ত জরুরি।

শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে যায় শরীর সেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সাধারণত দীর্ঘসময় গরম ও আর্দ্র পরিবেশে থাকলে বা কঠোর পরিশ্রম করলে এই সমস্যা হয়ে থাকে।

কী ভাবে বুঝবেন হিটস্ট্রোক হচ্ছে?

মাথা ঘোরা, দুর্বল লাগা, শরীর খুব গরম, শুকনো ও ঘামহীন হয়ে যাওয়া, তীব্র শ্বাসকষ্ট, বমি বা বমিভাব, দ্রুত হার্টবিট, কথা জড়িয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এই সবই হিটস্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে।

হিটস্ট্রোক এড়াতে কী করবেন?

১। প্রচুর জল পান করুন। দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস জল পান করতে হবে। তৃষ্ণা না পেলেও ঘন ঘন জল পান আবশ্যক। নুন-চিনি-লেবুর শরবত বা ইলেকট্রোলাইটস খাওয়া আরও ভাল।

২। রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রোদে বের না হওয়াই ভাল। ছাতা, সানগ্লাস, হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।

৩। শরীর ঠান্ডা রাখুন। প্রয়োজনে দিনে কয়েকবার ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ও হাত-পা ধুয়ে নিন। দরকার হলে ঠান্ডা কাপড় দিয়ে গা মুছুন। যাদের ঘাম কম হয়, তাদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি বেড়ে যায়। এই সব ব্যক্তিদের বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

৪। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। গরমে শারীরিক পরিশ্রম কম করুন। হাঁটা, দৌড়ানো বা কাজকর্ম সকালের দিকে বা সন্ধ্যায় করুন। অতিরিক্ত ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।

এরপরেও কারও হিটস্ট্রোক হলে রোগীকে প্রথমেই ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। শরীর ঠান্ডা করার চেষ্টা করুন। ঘাড়ে, চোখে, মুখে বা বুকে জল ছেটান। দেরী না করে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।