
রক্তাল্পতার সমস্যা নতুন নয়। এই সমস্যারই পোশাকি নাম অ্যানিমিয়া (Anemia)। রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা বা আরবিসির মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমে গেলেই তাকে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া বলা হয়। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (NFHS) গবেষণা অনুসারে, দেশের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি মহিলা (প্রায় ৫৫ শতাংশ), রক্তাল্পতার শিকার। এটি কোনও রোগ নয় বরং একটা সমস্যা। কেন এই সমস্যার শিকার হতে হয়? কীভাবে এই সমস্য়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
অ্যানিমিয়া কেন হয়?
১.বিভিন্ন কারণে শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে গেলে এই অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. অনেকেরই শরীরে আবার স্বাভাবিক রক্ত উৎপাদন হয় না। তাঁদের অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৩. কারও-কারও আবার রক্ত দূষিত হয়ে যায়। অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যায়। তাঁদেরও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. বড় কোনও অস্ত্রোপচারের জন্যাও শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে যায়। তখন অ্য়ানিমিয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৫. মহিলাদের শরীরে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা মাত্রা ১১.৯। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এর চেয়ে কমে গেলেই তাকে অ্যানিমিক বলা হয়।
৬. অন্যদিকে পুরুষদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ১৪।
৭. হাড়ের মজ্জায় লোহিত রক্তকণিকা তৈরি হয়। হাড়ের কোনও অসুখ থাকলে এর স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যহত হয়। ফলে রক্তাল্পতার ঝুঁকি বাড়ে।
অ্যানিমিয়ার সাধারণ লক্ষণ:
১. এই সমস্যা দেখা দিলে প্রচন্ড ক্লান্তি অনুভব হয়। ফলে মানুষ ঝিমিয়ে পড়েন, কর্মক্ষমতা হারায়।
২. অ্যানিমিয়ার শিকার হলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। হঠাৎই বুকের ভিতর ধুকপুকানি বেড়ে যায়।
৩. কারণ ছাড়াই শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
অ্যানিমিয়ার প্রতিকার:
আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া ছাড়াও অ্যানিমিয়ার বেশকিছু প্রতিকার রয়েছে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা ডায়েটে যোগ করলে কমবে রক্তাল্পতার সমস্যা। তার জন্য কী খাবেন জেনে নিন…
পালং শাক:
১০০ গ্রাম পালং শাকে ২.৭ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
খাসির মাংস:
১০০ গ্রাম খাসির মাংসে ২.৭ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। এছাড়াও এই মাংসে সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি, আয়রনের ঘাটতি মেটায়।
মটরশুঁটি ও বিনস:
বিনস, ডাল, বিনস ও সয়াবিন আয়রনের অন্যতম বড় উৎস। এক কাপ ডালে ৬.৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।