
শীত মানেই মোটা কম্বলের নীচে থাকতে ভাল লাগে। আর সকালগুলো হয় বেশ অলস প্রকৃতির। কিন্তু এই আরামদায়ক মরসুমে শরীরের নড়াচড়া কমে গেলে তা হজম থেকে শুরু করে ইমিউনিটি সব কিছুর ওপরই প্রভাব ফেলে। শীতে বাইরে বেরিয়ে জিম বা পার্কে যাওয়া অনেক সময় অনেকের কঠিন মনে হয়, তাই ঘরে বসেই তৈরি করুন নিজের ফিটনেস (Fitness) রুটিন। মাত্র ২০–৩০ মিনিট সময় দিলেই এই ঠান্ডাতেও শরীর থাকবে ফুরফুরে, মনও থাকবে তরতাজা।
সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীর ঠান্ডা ও শক্ত হয়ে থাকে। ৫ মিনিটের হালকা ওয়ার্ম-আপ (যেমন—স্পট মার্চিং, আর্ম সার্কেল, নেক রোল) শরীর গরম করে, রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং ইনজুরি থেকে বাঁচায়।
যোগ ব্যায়াম শরীরের নমনীয়তা বাড়ায় ও মনকে শান্ত রাখে। শীতে ‘সূর্য নমস্কার’, ‘ভুজঙ্গাসন’ ও ‘বালাসন’ বিশেষভাবে উপকারী। এগুলো শরীর গরম রাখে ও এনার্জি লেভেল বাড়ায়।
কোনও সরঞ্জাম ছাড়াই স্কোয়াট, লাঞ্জ, প্ল্যাঙ্ক, পুশ-আপের মতো ব্যায়াম ঘরে সহজেই করা যায়। প্রতিটি ব্যায়ামের ২–৩ সেট করলে পুরো শরীরের মাংসপেশি সক্রিয় থাকে।
মিউজিক চালিয়ে ১০–১৫ মিনিট ফ্রি ডান্স কার্ডিও শুধু ক্যালরি বার্নই করে না, বরং মনকেও উজ্জ্বল রাখে। এটি শীতের ক্লান্ত ভাব দূর করার মজার উপায়।
ওয়ার্কআউটের শেষে হালকা স্ট্রেচিং বা ফোম রোলিং করলে পেশির টান কমে এবং রক্ত চলাচল উন্নত হয়। এতে ব্যথা বা শক্ত ভাব আসে না।
শীতে অনেকেই জল কম খান, কিন্তু ঘাম না হলেও শরীর ডিহাইড্রেট হয়। তাই গরম জল বা হার্বাল চা পান করুন এবং ব্যায়ামের আগে-পরে হালকা প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখুন।
প্রতিদিন একই সময়ে ব্যায়াম করলে শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায়। সকালে সূর্যালোক আসার সময় ওয়ার্কআউট করলে শরীর ভিটামিন ডি-ও পায়, যা হাড়ের জন্য উপকারী।
মিউজিক প্লেলিস্ট, অনলাইন ফিটনেস ভিডিয়ো বা বন্ধুদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সেশন—এই সবই ব্যায়ামকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলতে পারে।
শীতের দীর্ঘ রাতের সঠিক ব্যবহার করুন। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে। যা ফিটনেস রুটিনেরই অংশ।
শীতে শরীরকে সচল রাখা মানেই ইমিউনিটি বাড়ানো, এনার্জি ধরে রাখা ও মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করা। তাই ঠান্ডা আবহাওয়াকে অজুহাত নয়, বরং প্রেরণা বানিয়ে ঘরেই শুরু করুন নিজের সকালের ব্যায়াম রুটিন। সামান্য নিয়ম মেনে চললেই শীতও হবে ফিটনেসের সেরা সময়।