
গরমকালে শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং ইলেকট্রোলাইটের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে লেবুর জল সবচেয়ে বেশি উপকারী পানীয় হিসেবে মনে করা হয়। আগে স্কুল থেকে ফিরলেই মা বাড়িতে ঠান্ডা জল দিয়ে লেবু, চিনি ও নুন মিশিয়ে শরবত করে দিতেন। আবার স্কুলের বাইরের লেবু মেশানো বরফ জল বা সোডার কথা মনে পড়লেই জন্য ফিরে আসে নস্ট্যালজিয়া। শরীরে জলশূন্যতা রোধ করতেও এই লেবুর কোনও বিকল্প নেই। লেবু জল পান করলে শরীর সতেজ থাকে এবং মনও শান্ত হয়।
আজকাল শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও অনেকে খালি পেটে লেবুর জল খান। কিন্তু প্রশ্ন হল লেবুর জল কখন খাওয়াটা জরুরি। সব সময় খেলে কি সমান উপকার পাওয়া যায়? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন ভুল সময়ে লেবুর জল খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
লেবু জল কখন পান করা উচিত?
লেবুতে থাকে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ইলেকট্রোলাইট থাকে, যা শরীরকে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখে। তাই গরমে দুর্বলতা বোধ করলে প্রথমেই লেবু জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। গরমকালে লেবুর জল কখন পান করা সবচেয়ে উপকারী?
১. সকালে খালি পেটে –
যাঁরা ওজন কমাতে চান বা শরীর ডিটক্স করতে চান, তাঁদের সকালে খালি পেটে লেবুর জল পান করা উচিত। এটি শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার করে এবং মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন হ্রাসে সহায়তা করে।
২. দুপুরের খাবারের পর –
যাঁরা হজম সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের দুপুরের খাবারের পরে লেবু জল পান করা উচিত। খাবারের প্রায় ৩০ মিনিট পর এক গ্লাস লেবুর জল খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়।
৩. ওয়ার্কআউটের পর –
ব্যায়ামের পর শরীরের জল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষার জন্য লেবু জল খুবই কার্যকর। এটি তৎক্ষণাৎ শক্তি দেয় এবং ক্লান্তি দূর করে।
কখন লেবু জল পান করা উচিত নয়?
রাতে লেবু জল পান করলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে অ্যাসিডিটি, অ্যালার্জি বা ঘন ঘন মূত্রত্যাগের সমস্যা হতে পারে। তাই রাতের দিকে লেবু জল পান করা এড়িয়ে চলাই ভালো।