খুব গরম বা বৃষ্টি কোনওটিই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যয় একেবারে ভাল নয়। এই গরম, ঘাম, বাতাস, আর্দ্র আবহাওয়া সবই আমাদের শরীরের উপর প্রভাব ফেলে। হজম ক্ষমতা কমে যায় সেই সঙ্গে বিপাকক্রিয়া কমে যায়। বিপাকক্রিয়া কমে গেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকে। তীব্র দাবদাহের পর হঠাৎ করেই অতিবৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। কোথাও কোথাও জলও দাঁড়িয়ে গিয়েছে। নোংরা জল ভাল জলের সঙ্গে মিশলে পেটখারাপ অবধারিত। এছাড়াও ত্বকের নানা সমস্যা থাকে। গরম হোক বা বর্ষা এই সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, জল বেশি করে খাওয়া, ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, স্টার্চযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা এসব করতে হবে।
ফ্ল্যাট টু স্লিম এর পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়াল শর্মা দিচ্ছেন বিশেষ কিছু টিপস। এই মরশুমে সুস্থ থাকতে প্রচুর জল খাওয়া আর শাক-সবজি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। রোজ দুপুরে একটা করে ডাবের জল খান। যদিও বর্ষায় শাক না খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ শাক বর্ষায় একেবারে নিরাপদ নয়। পেটের সমস্যা, হজমের সমস্যা এসব বাড়ে। আর এই সময় কাঁচা স্যালাডও খাওয়া ঠিক না। যা খাবেন ভাল করে রান্না করে সেদ্ধ করে খাবেন। গাজর, টমেটো, শসা কোনওকিছুই কাঁচা খাবেন না। তবে সবজির তরকারি, ডাল এসব রোজ একবাটি করে খাবেন। এর মধ্যে প্রোটিন আর ফাইবার এই দুই থাকে। ডায়াবেটচিস রোগীদের জন্য ডায়াবেটিস অপরিহার্য। কিছু সবজি আছে যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম তবে ফাইবারের ভাগ বেশি। তাই এই মরশুমে প্রথমেই যা খাবেন-
করলা- প্রথম পাতে করলা খেলে খুব ভাল। সারাবছর এই করলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। সেদ্ধ করে বা ভেজে খেতে পারেন। শুক্তো বানিয়েও খান পারলে। রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কম করতেও কাজে আসে এই করলা।
ব্রকোলি- ব্রকোলির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। আর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য তা খুব ভাল। সপ্তাহে একদিন হলেও এই ব্রকোলি খান। ব্রকোলি সেদ্ধ বা তরকারি।
ফুলকপি- ফুলকপির মধ্যে থাকে প্রোটিন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এসব ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফুলকপির মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। তাই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই রাখুন ডায়েটে।
টমেটো- ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই ভাল এই টমেটো। টমেটোর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়ায়। রোজ ডালের মধ্যে টমেটো, লাউ, কুমড়ো এসব দিয়ে সেদ্ধ করে খেতে পারেন।